মুযযাম্মিল হক উমায়ের।। তিনি একজন তাবিয়ী ছিলেন৷ হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর প্রসিদ্ধ ও যোগ্য ছাত্র ছিলেন৷ ইলম ও মর্যাদার এতো শীর্ষে ছিলেন যে, অনেক সাহাবীও তাঁর কাছ থেকে ফতোয়া ও ইলমী বিষয়ে জানতে চাইতেন৷
তিনি নিজের সুনাম-সুখ্যাতি প্রচার-প্রসার হোক অনেক অপছন্দ করতেন৷ লোকেরা একটি প্রসিদ্ধ ও উপযুক্ত স্থানে ইলমের দরস দিতে আবেদন করেন যাতেকরে তাঁর প্রসিদ্ধি ছড়িয়ে পড়ুক পৃথিবীর দিগ-দিগন্তে৷ উত্তরে তিনি বলেন, আমি এমন প্রসিদ্ধি অপছন্দ করি৷ ছাত্ররা, লোকজন আমার পিছনে পিছনে ঘুরঘুর করে ঘুরাফেরা করুক আর লোকেরা বলা শুরু করুক-এইযে আলকামা যাচ্ছে- এটি আমি চাই না৷
কেউ বললো, হযরত! যদি বাদশাহ, আমলাদের কাছে যেতেন, তাহলে আপনার দুনিয়াবী অনেক উপকার হতো৷ উত্তরে বলেন, আমি তাদের থেকে যে পরিমানে দুনিয়া গ্রহণ করবো, তারাও সেই পরিমানে আমার দীন নিয়ে নিবে৷ অর্থাৎ আমার দীনের ক্ষতি করবে৷
তিনি নিজের কাজ নিজে করতেন৷ ঘরে থাকতে পছন্দ করতেন৷ নিজের হাতে বকরিদেরকে ঘাস দিতেন৷ পানি খাওয়াতেন৷ এদের দেখাশোনা করতেন৷
তিনি গরিবদের ছেলেমেয়েদের সাথে বিবাহ বন্ধন করতে পছন্দ করতেন৷ উদ্দেশ্য ছিলো বিনয়৷ মৃত্যুর পর তিনি একটি চাদর, পুরোনো একটি কম্বল এবং একটি কুরআনুল কারীম ছেড়ে গেছেন৷ অন্যকোন সম্পদ রেখে যাননি৷
তিনি ৬২ হিজরীতে পরপারে পাড়ি জমান৷ আল্লাহ তাআলা পরকালে তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন৷ আমীন৷ সূত্র: আকওয়ালে সালফ
-এটি