আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলেই রাজবাড়ীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। রাজবাড়ীর তিনটি গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৬টায় পরিমাপকৃত তথ্য অনুযায়ী রাজবাড়ীর তিনটি গেজ স্টেশন পয়েন্টেই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীর তিনটি গেজ স্টেশনের মধ্যে পাংশা সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও সদরের মাহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর রয়েছে।
এদিকে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এছাড়াও নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ভাঙন আতংকে রয়েছে রাজবাড়ীর জেলার কয়েকটি গ্রামের হাজারো পরিবার।
রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, পদ্মা নদীর পানি ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। বিশেষ করে কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া ও রতনদিয়া, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন, সদরের বরাট, সেলিমপুর, খানগঞ্জ,মিজানপুরের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, এখনো কোনো এলাকা প্লাবিত হয়েছে এমন খবর পাইনি। তবে নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানি ওপরে উঠে এসেছে। বন্যা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয় আছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
-এএ