মুফতি মোস্তফা কামাল।। মহররমের ১০ তারিখকে আরবীতে আশুরা বলা হয়। আর আশুরার রোজা হলো, মহররমের ১০ তারিখের রোজা। এই রোজার রয়েছে অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত।
রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে আশুরার রোজা ফরজ ছিল। ২য় হিজরীতে রমজানের রোজা ফরজ হলে আশুরার রোজা নফল হয়ে যায়। তবে আশুরার রোজার ফজিলত হ্রাস পায়নি। (সূত্র: বুখারী, হাদীস নং-২০০২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোযার অনেক গুরুত্ব দিতেন এবং তিনি সাহাবায়ে কেরামকে আশুরার রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু মুসলমানই নয় তৎকালীন সময়ে ইহুদীরা পর্যন্ত আশুরার দিনে ব্যাপকভাবে রোজা পালন করতো। সূত্র: বুখারী, হাদীস নং-২০০৪
এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজার সাথে তার আগের কিংবা পরের আরো একদিন যুক্ত করে ২টি রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। (সূত্র: মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং-২১৫৪)
সেই হিসেবে আমরা মহররমের ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ দু‘টি রোজা রাখবো। অর্থাৎ আগামী ১৯ ও ২০ শে আগষ্ট, বৃহস্পতি ও শুক্রবার অথবা ২০ ও ২১শে আগষ্ট,শুক্র ও শনিবার।
আশুরার রোজার ফজিলত
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী তিনি রোজাদারের অতীতের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন”। [ মুসলিম, হাদীস নং-১১৬২]
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আশুরার রোজা পালনের মাধ্যমে অতীতের এক বছরের গুনাহ মাফ করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জামিয়াতুল আস'আদ আল-ইসলামিয়া রামপুরা ঢাকা
-েএটি