ফরহাদ খান নাঈম।।
মাথা থেকে পাকা চুল উঠিয়ে ফেলা মাকরুহ। এ ব্যাপারে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যেমন-
রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, কোনো মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তাআলার তার জন্য একটি নেকি লেখেন। একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং একটি পাপ মোচন করে দেন। নাসাঈ, মিশকাত
অপর হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা সাদা চুল উঠাবে না। কারণ এগুলো কেয়ামতের দিন নূর হবে।
আর যে (মুসলিম) ব্যক্তির চুল বার্ধক্যের কারণে সাদা হয় তার প্রতিটি সাদা চুলের বিপরীতে একটি করে সাওয়াব লেখা হয়, একটি করে গোনাহ মাফ করা হয় এবং একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়।’ ইবনু হিব্বান
আরেক বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল-দাঁড়ি উঠাবে না। কেননা কোনো মুসলিম ইসলামের মধ্যে থেকে চুল পাকালে এটা তার জন্য কেয়ামাতের দিন উজ্জ্বল নূর (আলো) হবে। আল্লাহ তার প্রতিটি পাকা চুলের পরিবর্তে তাকে একটি নেকি দান করবেন এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দেবেন। আবু দাউদ
উপরোক্ত হাদীসসমূহ থেকে বোঝা যায়, মুসলমানদের জন্য পাকা চুল উঠানো উচিত নয়।
তবে দাঁড়ি থেকে পাকা দাঁড়ি উঠিয়ে ফেলা সম্পূর্ণরূপে হারাম; তখন এটি আর উচিত-অনুচিতের পর্যায়ে থাকে না। কারণ রাসুলুল্লাহ সা. আমাদেরকে দাঁড়ি রাখার ব্যাপারে আদেশ দিয়ে বলেছেন, তোমরা দাঁড়ি ছেড়ে দাও (লম্বা করো) এবং গোঁফ ছোট করো। বুখারি ও মুসলিম।
আর মহিলাদের ক্ষেত্রেও একই কথা। অর্থাৎ তাদের জন্যও মাথা থেকে পেকে যাওয়া চুল উঠিয়ে ফেলা মাকরুহ হবে; কিন্তু তাদের চেহারায় যদি কোনো পাকা লোম থাকে, তাহলে তা অবশ্যই উঠানো যাবে না। কারণ রাসুলুল্লাহ সা. ঐ সমস্ত নারীদেরকে অভিসম্পাত করেছেন, যারা তাদের চেহারা থেকে (সাদা/কালো) লোম কিংবা পশম উঠিয়ে ফেলে।
-এটি