মুফতি নাজমুল হুদা নুমানী।।
শরিয়তে বিকাশের মাকাম হল "আজিরে মুরাসিল" পণ্য পরিবহনকারী শ্রমিক: বিকাশে বেশি বেশি লেনদেন করলে একটা পর্যায়ে বিকাশ আপনার একাউন্টে যে টাকা পাঠায় তা সুদ নয়,তা ব্যবহার সম্পুর্ণ বৈধ।
বিকাশ আপনাকে যে টাকা পাঠায় তা মুলত পাইকারী লেনদেনের ন্যায় তাদের সাথে বেশি লেনদেন করায় তারা খুশি হয়ে আপনার থেকে সার্ভিস চার্জ কম রাখার নাম,বাজারে পণ্য খুচরা কিনলে বেশি দাম।
পাইকারি কিনলে কম দাম,স্হায়ী ক্রেতা হলে কম দাম,এসবই বৈধ,তেমনই বিকাশ হল টাকা নামক পণ্য সার্ভিসদাতা,তাই তার একটা সার্ভিস চার্জ আছে,সবার থেকে সমান চার্জ গ্রহণ করে,পরবর্তীতে বেশি লেনদেনকারীকে কিছু টাকা পাঠায়,সেটা মুলত আপনার থেকে গ্রহণ করা সার্ভিস চার্জের টাকা।
আপনার একান্টের জমা রাখা আমানতের মুল টাকা হতে নয়,এভাবে বিকাশ আপনার থেকে সার্ভিস চার্জ একটু কমিয়ে রাখল পাইকারী ক্রেতার মত বেশি বেশি লেনদেন করার কারণে, কারণ আপনি যত বেশি লেনদেন করবেন বিকাশ তার সেবার মুল্য স্বরুপ তত বেশি সার্ভিস চার্জ পাবে,আর সেই সার্ভিস চার্জ হতে আপনাকে সন্মান স্বরুপ কিছু পাঠায়,যা মুলত চার্জ কমিয়ে রাখার নাম,ইহা সম্পুর্ণ বৈধ।
শরিয়তে বিকাশের মাকাম হল "আজিরে মুরাসিল" পণ্য পরিবহনকারী শ্রমিক,সে তার শ্রমের মুল্য বেশি লেনদেনকারী হতে আগে বা পরে এক সাথে বা পৃথকভাবে কম করে নেয়ার পুর্ণ অধিকার রাখে,আপনাকে ফেরত পাঠানোর মাধ্যমে পুর্ববর্তী সার্ভিস চার্জ একসাথে কম করে রাখল,যা তার নিজের অধিকার, আপনাকে উৎসাহমুলক বা সন্মান করে আপনার ক্ষেত্রে কমিয়ে রাখল,এটা কোন ইন্টারেস্ট লাভ নয়।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা প্রন্সিপাল ও প্রধান মুফতি:মারকাযুল ফিকহ আল ইসলামী বাংলাদেশ,ঢাকা
-এটি