বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আল্লামা আব্দুল খালেক সাম্ভলীর ইন্তেকালে সাইয়েদ আরশাদ মাদানীর শোক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: ভারতের ঐতিহাসিক দারুল উলুম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম ও মুহাদ্দিস আল্লামা আবদুল খালেক সাম্ভলী রহ. এর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেওবন্দের সদরুল মুদাররিসীন ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি আল্লামা আরশাদ মাদানী। এর আগে আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৪টায় ভারতের মুজাফফরনগর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়িন্না ইলাইহী রাজিউন।

মরহুমের জানাজার নামাজ ভারতের স্থানীয় সময় রাত ১১ টায় দেওবন্দের মুলসূরীতে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে দেওবন্দের মাকবারায়ে কাসেমীতে দাফন করা হবে। বিষয়টি দেওবন্দের মুফতি আসাদ কাসেমী আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন। মুত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

শোক বার্তায় আল্লামা আরশাদ মাদানী বলেন, ‘আল্লামা আব্দুল খালেক সাম্ভলী ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী ও সময় সচেতন মানুষ। আমি কখনো তাকে তার দায়িত্বের ক্ষেত্রে অবহেলা করতে দেখিনি। তিনি দীর্ঘদিন যাবত উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইলমী ও বিনয়ী কথাবার্তায় তিনি সবাইকে মুগ্ধ রাখতেন সব সময়।’

তিনি আরও বলেন, আমি তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবদেনা প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়অলা তাকে জান্নাতের আলা মাকাম দান করুন। তার মাগফেরাত কামনার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি দোয়ারও আহবান জানিয়েছেন আল্লামা আরশাদ মাদানী।

আল্লামা আব্দুল খালেক সাম্ভলীর রহ. এর আগে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য মিরাঠের স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ২১ জুন দিল্লির রাজীব গান্ধি ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতালে ভর্তির দুদিন পর ২৩ জুন সুস্থ হয়ে মাদরাসায় ফিরেছিলেন তিনি। এরপর পুনরায় গত ২৬ জুলাই থেকে অসুস্থতাবোধ করলে মুজাফফর নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম ও মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল খালেক সাম্ভলী রহ. কে।

আল্লামা আব্দুল খালেক সাম্ভলী রহ.  ১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি মুরাদাবাদ জেলার সানভাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মাওলানা নাসির আহমেদ। যিনি একজন দয়ালু, নম্র-ভদ্র, সরল মনের অধিকারী ও  প্রতিভাবান ছিলেন। তিনি একজন কবিও ছিলেন।

তার উস্তাদদের মধ্যে হজরত মুফতি মুহাম্মদ আফতাব আলী, হাফিজ ফরিদ-উদ-দীন, মাওলানা ফখরুদ্দিন মুরাদাবাদী, হজরত মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ তৈয়ব, হজরত মাওলানা মুফতি মাহমুদ আল হাসান, মাওলানা শরীফ আল হাসান অন্যতম।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ