আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিউনিশিয়ার রাজনৈতিক সঙ্কটকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের সোস্যাল মিডিয়াতে তোলপাড় চলছে। বুধবার এমন সংবাদ দিয়েছে কাতারের গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তিউনিশিয়ার ভয়াবহ রাজনৈতিক সঙ্কটকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের সোস্যাল মিডিয়াতে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) তোলপাড় চলছে। এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক, টুইটার, ইন্টাগ্রাম, ইউটিউব) এমনভাবে যুক্তি দেয়া হচ্ছে যে তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করে আর পার্লামেন্ট স্থগিত রেখে সঠিক কাজ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব প্রপাগান্ডা আর মিথ্যা তথ্য দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
রোববার তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ এমন নজিরবিহীনভাবে ওই পদক্ষেপগুলো নিলে টুইটারে একটি হ্যাসট্যাগ চালু করা হয়। ওই হ্যাসট্যাগে লেখা যে ‘তিউনিশিয়রা মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।’ মুসলিম ব্রাদারহুডকে সামনে এনে এ হ্যাসট্যাগ চালু করার প্রবণতা দেখা গেছে।
কিন্তু, এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয় কেন শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে কতগুলো সাধারণ মানুষের অভিমত নিয়ে টুইটারে এমন হ্যাসট্যাগ চালু করা হলো। আর যদি চালুও করা হয় এটা আসলে কাদের (কোন শাসক আর মহল) বক্তব্য। কোন মহলের ইঙ্গিতে এমন হ্যাসট্যাগ চালু করা হলো।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে মুসলিম ব্রাদারহুডবিরোধী নীতির কারণে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের ইঙ্গিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব প্রপাগান্ডা চালান হচ্ছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এনটি