আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শীর্ষ পর্যায়ের একটি তালেবান প্রতিনিধিদল বেইজিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার লক্ষ্যে চীন সফরে গেছে। তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম এ তথ্য জানিয়েছেন।
সেখানে তারা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় তারা দু দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আফগানিস্তানে নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করেন।
তালেবানের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গণি বারাদর। মোহাম্মদ নায়েম বলেন, তারা চীনকে আশ্বস্ত করেছেন কোনো দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। তিনি আরো জানান, আফগানিস্তানের ব্যাপারে চীনও নাক গলাবে না বলে বেইজিং অঙ্গীকার করেছে। বরং সমস্যা সমাধান ও শান্তি আনার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়িম টুইট বার্তায় লিখেছেন, রাজনীতি, অর্থনীতি ও উভয় দেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ইস্যু এবং আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
প্রতিনিধিরা চীনকে আশ্বস্ত করেছে যে, আফগানিস্তানের ভূমিকে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে দেওয়া হবে না। আফগানিস্তানে চীন যদি বিনিয়োগ করতে চায় তালেবান তাদেরকে সব ধরণের নিরাপত্তা দেবে।
এছাড়া চীনও আশ্বস্ত করেছে যে আফগানদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে বেইজিং। তবে চীন আফগানিস্তানের কোনো ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না কিন্তু সমস্যা সমাধান এবং দেশটিতে শান্তি স্থাপনে সহায়তা দেবে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিয়ানজিনে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বৈঠকে তালেবান এবং চীন একে অপরকে কয়েকটি বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। এর মধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এ অগ্রযাত্রা রুখতে হিমশিম খাচ্ছে আফগান সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, আফগানিস্তানে যখন সহিংসতা বাড়ছে সেই মুহূর্তে চীন সফরের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি নিশ্চিতের চেষ্টা করছে তালেবান। সূত্র: সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট।
-এটি