আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সিরিয়ায় কুর্দিদের তৎপরতা অব্যাহত থাকায় নিজেদের সেনা মোতায়েন রাখার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে আঙ্কারাবিরোধী কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে তুর্কি সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
পর্যবেক্ষকদের বরাতে ইরানি গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, তুরস্ক যে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে না, সেটা এই বিবৃতিতে স্পষ্ট। এখন তাদের সরাতে সিরিয়ার সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে। প্রথমটি হলো- সামরিক উপায়ে তুর্কি সেনাদের বহিষ্কার করা। দ্বিতীয়টি হলো- বিদেশি সেনা উপস্থিতির বিষয়টি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে তোলা।
তুরস্ক তাদের সীমান্ত নিরাপদ করতে আইএসসহ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করেছিল সিরিয়ায়। পরে কুর্দি সশস্ত্র গেরিলারা তাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে সেনা মোতায়েন রাখে আঙ্কারা। নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিদের সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রের জন্য হুমকি মনে করে এরদোয়ানের দেশ।
বিভিন্ন সময়ে তুর্কিদের ওপর হামলা চালিয়ে আসা কুর্দিরা ইরাক ও সিরিয়ায় ঘাঁটি গড়েছে বলে অভিযোগ তুরস্কের। সাম্প্রতিক সময়ে তুর্কি সেনাদের অভিযানে উভয় দেশেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কুর্দিরা। তবে এই গোষ্ঠীটি এখনো যে সক্রিয় রয়েছে, তার প্রমাণ সবশেষ হামলায় প্রাণহানি।
দিন তিনেক আগে সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনীর ওপর হামলা হয়, তাতে দুই সেনা নিহত ও কয়েকজন আহত হন। এই হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার না করলেও আঙ্কারা বলছে, কুর্দিরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের দমনে সম্ভব সব কিছু করা হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়ায় সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। সে অনুযায়ী, ভেতরে ভেতরে ব্যাপক প্রস্তুতিও নিচ্ছে তুর্কি সেনাবাহিনী। উত্তর সিরিয়ায় থাকা তুর্কি সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করে এই অভিযান চালানো হতে পারে।
এদিকে, ইরাক সীমান্তেও মোতায়েন থাকা তুর্কি সেনারা কুর্দি বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। দেশটিতে মোতায়েন রয়েছে তুরস্কের বিপুল সংখ্যক সেনা।
-এটি