মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

অহঙ্কার: ধ্বংস অনিবার্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুর রশীদ।।

নানা প্রকৃতির মানুষ ভিন্ন মন-মানসিকতা নিয়ে জীবনের অন্তিম পথের দিকে হেটে চলছে ৷ দেহে এক সংস্কৃতি, অন্তরে অন্য মূলনীতি ৷ বাহ্যিক অবয়ব একটি মুখোশ মাত্র ৷ মানুষের রহস্যের উদঘাটনের নেই কোনো শেষ, বুঝা সম্ভব না কারো ভিতরের সত্য পরিচয় ৷

ক্ষণিকের পথ চলায় মানুষ কত ধরনের রূপ প্রকাশ করে থাকে ৷ কারো নম্রতা আর সহনশীল চারিত্রিক গুণাগুণ দৃশ্যমান এবং কারো হিংসা আর অহঙ্কারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আচরণ ৷ প্রায় সবার অন্তরে কম-বেশি অহঙ্কারের অনুপ্রবেশ ঘটে থাকে। অহঙ্কারের মাত্রা অতিরিক্ত রূপ ধারণ করার ফলে ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়ে ৷

অহঙ্কারের সূচনা হয় প্রথম কার মাধ্যমে এবং কিভাবে সে সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞ ৷ পবিত্র কুরআন থেকে স্পষ্ট প্রতিয়মান অহঙ্কারের সূচনা করে অভিশপ্ত ইবলিস (শয়তান) ৷

যেভাবে সে অহঙ্কার প্রকাশ করেছিল তা কুরআনে এইভাবে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ বললেন, 'আর যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা কর’ । তখন তারা সিজদা করল, ইবলীস ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহঙ্কার করল। আর সে হল কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত । (সূরা আল-বাকারা:৩৪; সূরা সোয়াদ: ৭৩-৭৪)

আল্লাহ তা'য়ালা আরো বললেন, ‘সুতরাং তুমি এখান থেকে নেমে যাও । তোমার এ অধিকার নেই যে, এখানে তুমি অহঙ্কার করবে। সুতরাং বের হও। নিশ্চয় তুমি লাঞ্ছিতদের অন্তর্ভুক্ত’ । (সূরা আল-আরাফ, আয়াত-১৩) শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু ৷ তাই, শয়তানের যে কোনো আচরণ কারো চারিত্রিকের অংশ হলে তার ওপর অভিশাপের বৃষ্টি বর্ষণ হতে থাকে ৷ আল্লাহ তা'য়ালা শয়তানকে লানত করার পাশাপাশি পরোক্ষভাবে যারা তার অনুসরণ করবে তাদের ওপরও লানত করেছেন ৷ সুতরাং বুঝা যায় যে, অহঙ্কার একমাত্র ধ্বংস বয়ে আনে ৷

জীবন কালাতিপাত করার লগ্নে কত প্রকৃতির মানুষের আচরণ দৃষ্টিলব্ধ ৷ এর মধ্যে কিছু মানুষ অহঙ্কারের পোশাক পরিহিত ৷ আশেপাশে দেখা যায় এই প্রকৃতির মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি অন্তরে হিংসা ও ঘৃণা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় ৷ পথ চলার সময় একজন রিক্সা চালকের সাথে ধাক্কা লাগলে অহংকারবশে ওই চালককে হেয় প্রতিপন্ন করে ৷

টাকা একটু বেশি হলে পাশে থাকা মানুষদের দৃষ্টিগোচর হয় না, কোনো একটা ভালো পোস্টে অবস্থান করলে নিচু স্তরের মানুষের সাথে ব্যবহার করে ঘৃণাসূচক কটুক্তি ৷ কিছু ছাত্র পড়া লেখায় ভালো মার্ক পায় বলে দূর্বল প্রকৃতির ছাত্রদের সাথে মিশতে চায় না ৷ সমাজের প্রভাবশালী হওয়াতে ন্যায়ের পথ চোখে দেখে না; দূর্বলদের প্রতি ক্ষমতার প্রয়োগ দেখায় ৷ তারা এমনভাবে চলেফেরা করে যেন উচ্চতায় পাহাড় ছাড়িয়ে গেছে ৷

এসব লোকদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন, 'আর যমীনে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো যমীনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না ।' (সূরা বনী-ইসরাঈল: ৩৭)

দরিদ্র থেকে একটু সচ্চল হতে পারলে কিছু মানুষ গত হওয়া জীবনের ইতিহাস ভুলে যায়, ভুলে যায় অসহায়ত্ব ও ভোগান্তিকর পরিস্থিতির কথা ৷ কে এই অন্ধকার পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিলেন তা মনেই রাখে না বিন্দু পরিমাণ ৷ বর্তমান সমাজের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এমন প্রকৃতির মানুষের কোনো অভাব হয় না ৷ হাটার জন্য যাদের পায়ে ভালো এক জোড়া চ্যান্ডেল ছিল না; এখন ব্র্যান্ডের জুতো ছাড়া চলে না ৷ দু'বেলা খাওয়ার জন্য চাউল যোগাড় করতে পারতো না; এখন মাছ-মাংস ছাড়া এক বেলা অতিক্রম করে না ৷

আশ্রয়ের জন্য ভালো কোনো ঘর-বাড়ি ছিল না; এখন পাঁচ তলা উচু ভবনে না ঘুমিয়ে পারে না ৷ এরা কথা বলার সময় গর্ব করে বলে, এগুলো আমাদের রক্ত ঝরা ঘামের পরিশ্রম মাত্র ৷ নিজেদের কষ্টে অর্জিত এই সবকিছু ৷ এমনকি কোনো উপকারির উপকারের কথা পর্যন্ত অস্বীকার করে বসে ৷ এই প্রকৃতির মানুষগুলো আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে অহঙ্কার ও দাম্ভিকতা প্রকাশ করে থাকে বলে সে জন্য তাদের চরিত্রের নমুনা স্বরুপ একটি চিত্র পবিত্র কুরআনে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন ৷ আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, 'আর দুঃখ-দুর্দশা স্পর্শ করার পর যদি আমি তাকে নিয়ামত আস্বাদন করাই, তাহলে সে অবশ্যই বলবে, ‘আমার থেকে বিপদ-আপদ দূর হয়ে গেছে, আর সে হবে অতি উৎফুল্ল, অহঙ্কারী ।' (সূরা হুদ, আয়াত-১০)

অহঙ্কারের বহু স্তর রয়েছে ৷ অনেক কিছুকে কেন্দ্র করে অহঙ্কার প্রকাশিত হতে পারে ৷ উদাহরণস্বরূপ- শারীরিক সুঠাম দেহী গঠন নিয়ে অহঙ্কার প্রকাশ করতে পারে, চেহারার সৌন্দর্য বা রূপ নিয়ে, অতি স্মার্টনেসের কারণে, আভিজাত্য পোশাক পরিধানের দরুন, গাড়ি-বাড়ি ও বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হওয়াতে, প্রতিষ্ঠানের অফিসার কিংবা ম্যানেজারের পদ নিয়ে, জ্ঞান নিয়ে, লেখার সৌন্দর্য নিয়ে, বাকপটুতার দরুন এবং ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়ায় ইত্যাদির মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার অহঙ্কার প্রকাশ করতে পারে ৷

তাই, আল্লাহ তা'য়ালা উপদেশ দিয়ে সবাইকে সতর্ক করে বলেন, 'আর যমীনে দম্ভভরে চলাফেরা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না ।' (সূরা লুকমান: ১৮; সূরা নিসা: ৩৬; সূরা আল-হাদীদ: ২৩) সন্তানকে দেওয়া লোকমান(আ:)-এর দারুণ উপদেশ থেকে প্রত্যেকের জন্য অবশ্য শিক্ষা নিহীত রয়েছে ৷ তিনি বললেন, "অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না, পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণা করো না ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না ৷ যমীনে চলার সময় তুমি মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং কন্ঠস্বর নিচু করো, নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর ৷" (সূরা লুকমান: ১৮-১৯)

অহঙ্কারের দরুন বিগত অনেক সম্প্রদায়ের ভয়ঙ্কররূপে অন্তিম ঘন্টা বেজেছিল ৷ এর শত শত নজির ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে ৷ পবিত্র কুরআনে এমন কিছু সম্প্রদায়ের বর্ণনাও স্থান পেয়েছে ৷ সূরা ফুসসিলাত ১৫নং আয়াতে আদ সম্প্রদায়ের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে ৷ আদ সম্প্রদায় নিজেদের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী মনে করত, নিজেদের নিয়ে গর্ব করত এবং অযথা অহঙ্কার করত; এমনকি আল্লাহর আয়াতসমূহকেও অস্বীকার করত ৷ ফলশ্রুতিতে তাদের ধ্বংস অনিবার্য হয়েছিল ৷

সূরা কাসাসের ৩৯নং আয়াতে ফির'আউনের ঘটনা উল্লিখিত হয়েছে ৷ ফির‘আউন ও তার সেনাবাহিনী অন্যায়ভাবে যমীনে অহঙ্কার করত এবং তারা মনে করত তাদেরকে আল্লাহর নিকট উপস্থিত হতে হবে না ৷

ফির'আউন সম্প্রদায়ের হঠকারিতা ও দূরাচরণের ফলে দূর্ভিক্ষের আগমনের ফলে তাদের ক্ষেতের যাবতীয় ফসল চরমভাবে হ্রাস পেয়েছিল ৷ সূরা আ'রাফের ১৩৩নং আয়াতে এসেছে যে, ফির'আউন সম্প্রদায়ের বারবার ঔদ্ধত্য আচরণের ফলে আল্লাহ তা'য়ালা তাদের ওপর পাঁচ ধরনের আযাব নাজিল করেছিলেন— তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত ৷ এ আযাবসমূহ তাদের অসহ্য করে তুলেছিল ৷ এইভাবে প্রত্যেক অহঙ্কারীদের ভয়ঙ্কর শাস্তির সম্মুখিন হতে হয়েছিল ৷

অহঙ্কারীদের সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে তাদের আবাসস্থল ও শাস্তির প্রচণ্ডতা নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, 'অবশ্যই অহঙ্কারীদের আবাস অতিনিকৃষ্ট ৷' (সূরা আন-নাহল, আয়াত-২৯; সূরা যুমার: ৭২)

'অহঙ্কারীদের বাসস্থান জাহান্নামের মধ্যে নয় কি?' (সূরা যুমার: ৬০); 'এভাবেই আল্লাহ প্রত্যেক অহঙ্কারী স্বৈরাচারীর অন্তরে সীল মেরে দেন ।' (সূরা মু'মিন: ৩৫) হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- রাসূল(স:) বলেন, “কিয়ামতের দিন অহঙ্কারীদেরকে ছোট ছোট পিপীলিকার ন্যায় মানুষের আকৃতিতে হাশরের ময়দানে উপস্থিত করা হবে ৷ অপমান ও লাঞ্ছনা তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে ৷ তাদেরকে জাহান্নামের একটি জেলখানায় একত্রিত করা হবে, যার নাম হবে “বুলাস" ৷ আগুন তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঢেকে ফেলবে ৷

জাহান্নামীদের শরীরের ঘাম তাদেরকে পান করতে বাধ্য করা হবে ৷" (সুনানে তিরমিযী: ২৪৯২); অন্যত্রে রাসুল (সা.) বলেন, 'অহঙ্কার হচ্ছে সত্য প্রত্যাখ্যান ও মানব অবমূল্যায়ন ৷’ (সহিহ মুসলিম: ৯১)

ইমাম গাজালি রহ. দুনিয়ায় অহঙ্কারী ব্যক্তির তিন ধরনের শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন— ক. অহঙ্কারী ব্যক্তি মানসিক অপূর্ণতা-অতৃপ্তি এবং অশান্তিতে ভোগে ৷ অহঙ্কারী ব্যক্তি সম্মানের পরিবর্তে অসম্মান প্রাপ্ত হয় ৷ খ. হেদায়াত থেকে অহঙ্কারী ব্যক্তি বঞ্চিত হয় (সূরা আরাফ: ১৪৬) ৷ গ. আল্লাহর সব ধরনের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হয় ৷ এছাড়াও পরকালে কোনো বিচার-বিশ্লেষণ-ফয়সালা না করেই আল্লাহ তা'য়ালা সর্বপ্রথম অহঙ্কারীকে সরাসরি জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন৷

হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তা'য়ালা বলেন: সম্মান হচ্ছে- আল্লাহর পরনের কাপড়; আর অহঙ্কার হচ্ছে- আল্লাহর চাদর ৷ যে ব্যক্তি এটা নিয়ে আমার সাথে টানাটানি করে আমি তাকে শাস্তি দেই ৷ (সহিহ মুসলিম: ২৬২০)

অহঙ্কারীর কিছু বৈশিষ্ট্য: ১.অন্যের থেকে সালাম কামনা করা এবং অন্যকে সালাম প্রধান না করা ৷ ২. দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন কামনা করা, নিজেকে অন্যদের চেয়ে বড় মনে করা ৷ ৩. কথাবার্তা-চালচলনের মাধ্যমে অহঙ্কার করা ৷ অর্থাৎ- নিজেকে তার কথাবার্তা-চালচলনের স্মার্টনেসের জন্য অন্তরে নিজেরই তারিফ করা, নিজের ভিতর গর্ববোধ করা এবং নিজেকে অন্যদের চেয়ে উত্তম মনে করা ৷

৪. ঠাট্টা বিদ্রূপ, চোগলখোরি, গীবত করা, অন্যকে নিয়ে উপহাস করা, তিরস্কার করা প্রভৃতি বিষয়ের মধ্যে মানুষের অহঙ্কারের প্রকাশ ঘটে ৷ যখন কেউ অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করে তখন সে বুঝায় যে, সে নিজে এই সব দোষ থেকে মুক্ত ৷ নিজেকে বড় করে এবং অন্যকে ছোট করে ৷

৫. দরিদ্র-অসহায়দের সাথে মেলামেশা না করা, (সূরা আল-আন'আম: ৫১) ৷ ৬. নিজের মতের উপর অটল থাকা যদিও তাতে ভুল থাকে এবং নিজেকে শুধরায় না ৷ নিজে যা করছে কেবল তা ঠিক মনে করা ৷ এছাড়াও হাদিসে এসেছে, 'রাসুল (সা.) বলেন, 'জাহান্নামি হচ্ছে প্রত্যেক কঠিন প্রকৃতির ধনী কৃপণ অহংকারী ৷’ (সহিহ বুখারি: ৪৯১৮)

একজন অহঙ্কারীর ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল(সা:) ইরশাদ করেন, ‘একদা এক ব্যক্তি এক জোড়া জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক পরে (রাস্তা দিয়ে) চলছিল ৷ তা নিয়ে তার খুব গর্ব বোধ হচ্ছিল ৷ তার জমকালো লম্বা চুলগুলো সে খুব যত্নসহকারে আঁচড়ে রেখেছিল ৷ হঠাৎ আল্লাহ তা'য়ালা তাকে ভূমিতে ধসিয়ে দেন এবং সে কিয়ামত পর্যন্ত এভাবেই নিচের দিকে নামতে থাকবে ৷ (সহিহ বুখারি: ৫৭৮৯, ৩২৯৭; সহিহ মুসলিম: ২০৮৮)

পরিশেষে আল্লাহ তা'য়ালার একটি আয়াত স্মরণের জন্য উপস্থাপন করছি যেন আমরা উক্ত আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে যাবতীয় অহঙ্কার থেকে মুক্ত থাকতে পারি ৷

আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, 'যাতে তোমরা আফসোস না কর তার উপর যা তোমাদের থেকে হারিয়ে গেছে এবং তোমরা উৎফুল্ল না হও তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে । আর আল্লাহ কোন উদ্ধত ও অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না । (সূরা আল-হাদীদ: ২৩); হাদিসে এসেছে- রাসূল(স:) বলেছেন, 'তিল পরিমাণ অহঙ্কার যার অন্তরে আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না ৷' (জামে তিরমিযী: ১৯৯৮) আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝার ও অমল করার তৌফিক দান করুক ৷ আমিন !

লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ চট্টগ্রাম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ