মুফতি নাজমুল হাসান
জিলহজ মাস বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। আর জিলহজের মহিমাপূর্ণ একটি দিন হলো নয় তারিখ। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সেই দিনটির নাম ‘ইয়াওমু আরাফা’। চাঁদের হিসেবে এবছর আমাদের দেশে ‘ইয়াওমু আরাফা’ হল মঙ্গলবার৷ আল্লাহ তা‘আলা এ দিনকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছেন। দ্বীন-ইসলাম পূর্ণতার ঘোষণা দিয়েছেন এ দিনেই।
এ দিনেই অবতীর্ণ হয়েছে কুরআনে কারিমের সর্বশেষ আয়াত, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলাম তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ০৩)
এ দিনে বান্দার দিকে রবের রহমতের জোয়ার প্রবলবেগে উৎসারিত হয়। অসংখ্য বান্দাকে তিনি ক্ষমা করে থাকেন এ দিনে। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আরাফার দিনের মতো আর কোনো দিন এত অধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না। আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার নিকটবর্তী হন এবং বান্দাদের নিয়ে ফিরিশতাদের নিকট গর্ব করেন। আল্লাহ বলেন, কী চায় তারা? (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৩৪৮)
আরাফার দিনের রোযা: আরাফার দিনের রোযায় দুই বছরের (ছগীরা) গুনাহ মাফ হয়ে যায়৷ হাদিসে এসেছে- আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আরাফার দিনের (নয় যিলহজের) রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
আরাফার দিনের শ্রেষ্ঠ দোয়াঃ অন্যদিকে হাদিস শরিফে আরাফার দিনের দোয়াকে শ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়েছে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ দোয়া (-জিকির) আরাফার দোয়া। দোয়া-জিকির হিসেবে সর্বোত্তম হলো ওই দোয়া, যা আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ করেছেন। তা হলো-
لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ: ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদির’।
-এটি