মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

শয়তান ও নির্লজ্জতা নিয়ে উস্তাদ নুমান আলী খানের অসাধারণ আলোচনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ
নিউজরুম এডিটর

উস্তাদ নুমান আলী খান। আপাদমস্তক কুরআনের আলোকে সাজানো বিশ্বখ্যাত আমেরিকান দায়ী। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত একজন ইসলামি বক্তা। নুমান আলী খান ধর্মীয় যুক্তিতর্কের জন্য মুসলিমদের নিকট বেশ জনপ্রিয়। আজ থাকছে শয়তান ও নির্লজ্জতা নিয়ে কুরআনের আলোকে তার অসাধারণ একটি খুৎবার বাংলা অনুবাদ।

আল কুরআনে নির্লজ্জতা এবং শয়তানের আলোচনাকে পৃথক করা যায় না। এই দুটি বিষয় একটি আরেকটির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আপনি যখন আল্লাহর অবাধ্যতা করেন, প্রতিবার যখন আল্লাহর অবাধ্য হন-এর মাধ্যমে আপনি আসলে আপনার কিছু কর্তৃত্ব শয়তানকে দিয়ে দিলেন। যখনই আল্লাহর অবাধ্য হন, শয়তান তখন আপনার উপর কিছুটা শক্তি অর্জন করে ফেলে। যত বেশি আপনি আল্লাহর নির্দেশের অবজ্ঞা করেন, শয়তান আপনার উপর ততবেশি শক্তিশালী হয়ে উঠে।

এমনকি শেষে এমন নাজুক অবস্থা হয়ে পড়ে যে, শয়তান তখন আপনাকে নির্দেশ দিতে শুরু করে, আর আপনিও তা পালন করতে শুরু করেন।

স্বাভাবিক অবস্থায় শয়তানকে শুধু কুমন্ত্রণা দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। তার আপনার উপর জোর খাটানোর কোনো ক্ষমতা নেই। কিন্তু আপনি যদি তার কুমন্ত্রণা গ্রহণ করেন, তখন আপনার ঈমান দুর্বল হয়ে পড়ে। আর আল্লাহ দূরে সরে যান। শয়তান তখন আপনার উপর শক্তিশালী হয়ে উঠে। ফলে সে অনেক কিছু করতে পারে।

সূরা বাকারায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা বলেন: اَلشَّیۡطٰنُ یَعِدُکُمُ الۡفَقۡرَ ‘শয়তান তোমাদের গরীব হয়ে যাওয়ার ভয় দেখায়।’ আয়াত: ২৬৮।

অর্থাৎ সে চায় না আপনি দান-সদকা করেন। সে আপনাকে দরিদ্রতার প্রতিশ্রুতি দেয়। তাই আপনি কৃপণতা প্রদর্শন করেন, আল্লাহর পথে ব্যয় করতে চান না।

এখন আপনি যদি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা বন্ধ করে দেন, আপনি কি আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করছেন? হ্যাঁ। এর পরের বাক্য কী? وَ یَاۡمُرُکُمۡ بِالۡفَحۡشَآءِ ‘এবং সে তোমাদেরকে অশ্লীল কাজের আদেশ করে। (আয়াত: ২৬৮)

আল্লাহ বলেননি, ‘সে তোমাদেরকে অশ্লীল কাজের কুমন্ত্রণা দেয়’। না, না। বরং আল্লাহ বলেন, ‘সে তোমাদেরকে অশ্লীল কাজের আদেশ দেয়।’ কীভাবে সে নির্দেশ দেয়? অনেক সময় ছেলেরা এসে আমাকে বলে, ‘উস্তাদ, আমি আমার ফোনে খারাপ জিনিস দেখি। আমি নিজেকে বিরত রাখতে পারি না।’

‘হ্যাঁ, আমি জানি তুমি নিজেকে থামাতে পারো না। শয়তান তোমাকে আদেশ করছে, আর তুমি তা পালন করছো। কারণ তুমি আল্লাহর অবাধ্যতা করতেই থাকো। একমাত্র যে উপায়ে তুমি শয়তানকে পরাজিত করতে পারবে তা হলো, আল্লাহর অবাধ্যতা বন্ধ করা। আল্লাহ বলেছেন: اِنَّ عِبَادِیۡ لَیۡسَ لَکَ عَلَیۡہِمۡ سُلۡطٰنٌ ‘নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোনো ক্ষমতা নেই। সূরা হিজর: ৪২।

এর মানে কী? তারা যদি আমার দাস না হয়ে থাকে তাহলে তুমি তাদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। তারা যদি আমার কথা না শোনে, তাহলে তুমি তাদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। ফলে নিজেকে ধ্বংস না করতে চাইলে হারাম কাজে লজ্জা রাখুন। লজ্জা ডিঙ্গিয়ে হারাম জিনিসের দিকে তাকাবেন না, হারাম দৃশ্য দেখবেন না। তবেই শয়তান আপনার উপর আছর করতে পারবে না। তবেই আপনি দুনিয়া ও আখিরাতের ক্ষতি থেকে বেঁচে যাবেন। আল্লাহ আমাদের হারাম কাজে লজ্জাশীল হওয়ার তাওফিক দিন, আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে রক্ষা করুন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ