আমিনুর রহমান হাসান।।
আল্লাহ তায়ালা বান্দার পূর্বের একবছর এবং পরের এক বছরের গোনাহ মাফ করেন আরাফার দিনের রোযার মাধ্যমে। এখন আরবি জিলহজ্ব মাস চলছে। বছরের যেকোনো সময়ই যেকোনো নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়। তবে কিছু কিছু সময়ে কিছু আমলের মরতবা অন্যান্য সময়ের তুলনামূলক বেশি হয়। তেমনি এক আমল আরাফার দিনের রোযা। জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখকে ইয়াওমু আরাফা বা আরাফা দিবস বলে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ইয়াওমে আরাফার রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, তিনি এর দ্বারা আগের এক বছরের ও পরের একবছরের গোনাহ মাফ করবেন’। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১১৬২)।
আরাফার এ রোযা ফরয ওয়াজিব বা মুস্তাহাব এরকম কিছু না। এ রোযা না রাখলে গোনাহ হবে না। তবে এ রোযার ফজিলত অন্যান্য নফল রোযার চেয়ে অধিক। হাজীদের জন্য আরাফার ময়দানে রোযা রাখা মুস্তাহাব নয়। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফার ময়দানে রোযাবিহীন অবস্থায় ছিলেন।
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আরাফার দিনের রোযার ছওয়াব এক হাজার দিন রোযা রাখার সমান’। (তারগিব)।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আরাফা দিবসের রোযা পালনের মাধ্যমে হাদীসে বর্ণিত ফজিলত হাসিলের তাওফিক দান করুন।
লেখক: আলেম, প্রাবন্ধিক
-এএ