মুফতি নাজমুল হাসান।। আজ ২৮ জ্বিলকদ ১৪৪২ হিজরি। আগামীকাল ৩০ তারিখ। এরপর দিন থেকেই যিলহজ্বের প্রথম ১০ দিন শুরু। চুল, নখ ও যাবতীয় পশম না কাটার আমলের প্রস্তুতির জন্য মাথার চুল, নখ ও যাবতীয় অবাঞ্চিত পশম কেটে ফেলুন৷
যিলহজ্বের চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানীর আগ পর্যন্ত নিজের চুল, নখ, মোচ, শরীরের পশম ইত্যাদি না কাটা মুস্তাহাব। হযরত উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন: إذا رأيتم هلال ذي الحجة وأراد أحدكم أن يضحي- فليمسك عن شعره وأظفاره-
অর্থঃ যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখতে পাওয়ার পর তোমাদের কেউ যদি কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তাহলে সে যেনো স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম: হাদিস নং ১৯৭৭)
যে ব্যক্তি কুরবানী করতে সক্ষম নয়, সেও এই আমল পালন করবে। অর্থাৎ নিজের চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি কাটবে না; বরং তা কুরবানীর দিন কাটবে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
أمرت بيوم الأضحي- جعله الله عيدا لهذه الأمة- قال الرجل: أرأيت إن لم أجد إلا منيحة أنثي أفأضحي بها؟ قال: لا ولكن تأخذ من شعرك وأظفارك وتقص شاربك وتحلق عانتك فتلك تمام أضحيتك عند الله
অর্থঃ আমি কুরবানীর দিন সম্পর্কে আদিষ্ট হয়েছি (অর্থাৎ এই দিবসে কুরবানী করার আদেশ করা হয়েছে।) আল্লাহ তা’আলা তা এই উম্মতের জন্য ঈদ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।
এক ব্যক্তি আরয করলো- ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমার কাছে শুধু একটি মানিহা থাকে (অর্থাৎ যা শুধু দুধ পান করার জন্য দেওয়া হয়েছে?) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- না, বরং সেদিন তুমি তোমার চুল কাটবে, নখ কাটবে, মোচ এবং নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করবে। এটাই আল্লাহ তা’আলার কাছে তোমার পূর্ণ কুরবানী বলে গন্য হবে। (মুসনাদে আহমাদ: হাদিস নং ৬৫৭৫)
-এটি