।।মুফতী রাশেদুল ইসলাম।।
পৃথিবীতে চলমান এই "সময়" মহান আল্লাহ তা'য়ালাই সৃষ্টি করেছেন এবং বিভিন্ন ভাবে সুবিন্যস্ত করেছেন। বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন, রাত, ইত্যাদি তিনিই সাজিয়েছেন। আর তিনিই আপন হিকমতে ও কুদরত বলে বছরের কিছু মাস, মাসের কিছু দিন এবং দিনের কিছু অংশকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করেছেন।
কুরআনে কারীমের ভাষ্যমতে বছরের চারটি মাস অধিক সম্মানিত। আল্লাহ তাআলা বলেন,
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللّٰهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِیْ كِتٰبِ اللّٰهِ یَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ مِنْهَاۤ اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ
আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন সেইদিন থেকেই মাসসমূহের গণনা আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর বিধান মতে বারটি। তন্মধ্যে চারটি মাস অতি সম্মানিত (১,রজব ২,জিলক্বদ ৩,জিলহজ এবং ৪,মুহাররম)। [সুরা তাওবা:৩৬]
এই চারটি মাসের অন্যতম হল যিলহজ্ব মাস। আর এ মাসের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও ফযীলতপূর্ণ সময় হল ‘আশারায়ে যিলহজ্ব’ অর্থাৎ যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশক।
যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশকের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা আল্লাহ তাআলা এই দশকের রাত্রীর শপথ করেছেন কুরআনে কারীমে। ইরশাদ হয়েছে, وَ الْفَجْرِۙ وَ لَیَالٍ عَشْرٍ ‘শপথ ফযরের, শপথ দশ রাত্রির’। (সূরা ফাজর:১-২)।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)ও মুজাহিদ রাহ.সহ অনেক সাহাবী, তাবেঈ ও মুফাসসিরগন বলেন, এখানে ‘দশ রাত্রি’ দ্বারা যিলহজ্বের প্রথম দশ রাতকেই বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৫৩৫)।
এই দশ দিনের নেক আমল আল্লাহ তাআলার নিকট অত্যাধিক প্রিয়। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত ইবনে আব্বাস(রা,) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন-
مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهَا أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ يَعْنِي أَيَّامَ الْعَشْرِ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ قَالَ: وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ، فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ
অর্থাৎ আল্লাহর নিকট যিলহজ্বের প্রথম দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও (এর চেয়ে উত্তম) নয়? তিনি বললেন, না, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে হ্যাঁ! সেই ব্যক্তির জিহাদ উত্তম,যে নিজের জান-মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য বের হয়েছে। অতঃপর কোনো কিছু নিয়ে ঘরে ফিরে আসেনি। (সহীহ বুখারী, হা, ৯৬৯;আবু দাউদ, হা,২৪৩৮)।
আরেকটি হাদীসে এসেছে, হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
أَفْضَلُ أَيَّامِ الدُّنْيَا أَيَّامُ الْعَشْرِ، عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ، قَالَ: وَلَا مِثْلُهُنَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ قَالَ: لَا مِثْلُهُنَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ , إِلَّا رَجُلٌ عَفَّرَ وَجْهَهُ فِي التُّرَابِ
অর্থাৎ দুনিয়ার সর্বোত্তম দিনগুলো হল, যিলহজ্বের দশদিন। জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও কি তার সমতুল্য নয়? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও তার সমতুল্য নয়। তবে ঐ ব্যক্তি যার চেহারা ধূলিযুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ শাহাদাত বরণ করেছেন। (মুসনাদে বাযযার, হাদীস ১১২৮; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ২০১০; মাজমাউল যাওয়াইদ ৪/৮;
قال الهيثمي : إسناده حسن ورجاله ثقات)
এসব হাদীসের কারণেই যিলহজ্বের প্রথম দশকের আমলকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়।
নিম্নে এই দশকের তাৎপর্যপূর্ণ কিছু আমল তুলে ধরা হল-
এক;
জিলহজ্ব মাসের চাঁদ ওঠার আগেই চুল,মোচ কাঁটা এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের পশম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা। তেমনি ভাবে হাত পায়ের নখ কাটা। অতঃপর কোরবানির দিন কোরবানি আদায় করার পর তা পরিষ্কার করা। মধ্যবর্তী সময়ে এগুলো কাটা থেকে বিরত থাকা। প্রিয় নবী (সাঃ) একটি হাদীসে ইরশাদ করেছেন-
عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : " مَنْ رَأَى هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ، وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلَا مِنْ أَظْفَارِهِ ".
হযরত উম্মে সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন; যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইরাদা করে, সে যেন যিলহাজ্জের নতুন চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে। (জামে তিরমিযি হা,১৫২৩; সুনানে আবু দাউদ হা,২৭৯১)।
দুই;
নফল ইবাদতে অধিক যত্নবান হওয়া;
তা যেকোনো নফল হতে পারে। সালাত, সাওম, তসবি-তাহলীল ইত্যাদি।
একটি হাদিসে প্রিয় নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ أَفْضَلَ مِنَ الْعَمَلِ فِي هَذِهِ ”. قَالُوا وَلاَ الْجِهَادُ قَالَ ” وَلاَ الْجِهَادُ، إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ يُخَاطِرُ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ بِشَىْءٍ ”.
ইবনে ‘আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্ণিত; নবী (সাঃ) বলেছেন; যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ‘আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের ‘আমল উত্তম নয়। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও (উত্তম) নয়? নবী (সাঃ) বললেন; জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া যে নিজের জান-মাল নিয়ে জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না। (সহিহ বুখারী, হা, ৯৬৯)।
বিশেষ করে এই দশকের প্রতিটি রজনিকে নফল ইবাদাত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করা।কেননা হাদিস শরিফে এরাত্রিগুলোর প্রতি রাতের ইবাদাত কে লায়লাতুল ক্বদরের ইবাদাতের সমান আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ইরশাদ হয়েছে-
وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ(رواه الترمذى وابن ماجة)
তিন;
জিলহজ্ব মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা;
জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশকে যে সকল নফল ইবাদতের কথা এসেছে, তন্মধ্যে রোজা অন্যতম। হাদিসে এসেছে-
عَنْ هُنَيْدَةَ بْنِ خَالِدٍ الْخُزَاعِيِّ ، عَنْ حَفْصَةَ ، قَالَتْ : أَرْبَعٌ لَمْ يَكُنْ يَدَعُهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَالرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ.
নবী কারীম (সাঃ) আশুরার রোযা,যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা,প্রত্যেক চন্দ্র মাসের তিন(১৩,১৪,১৫ তারিখের) রোযা এবং ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত কখনো ছাড়তেন না। (মুসনাদে আহমদ হা,২৬৪৫৯;)
অন্য হাদিসে এ দিনগুলোর প্রত্যেক দিনের রোজাকে এক এক বছর রোজা রাখার সমান আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা,) এরশাদ করেছেন-
"يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ، (رواه الترمذى)
চার;
অধিক পরিমাণে তাসবীহ তাহলীল পড়া।
প্রিয়নবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন;
عَنْ مُجَاهِدٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " مَا مِنْ أَيَّامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ، وَلَا أَحَبُّ إِلَيْهِ الْعَمَلُ فِيهِنَّ، مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ الْعَشْرِ، فَأَكْثِرُوا فِيهِنَّ مِنَ التَّهْلِيلِ وَالتَّكْبِيرِ وَالتَّحْمِيدِ ".
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত,নবী কারিম (সা,)এরশাদ করেছেন। আল্লাহ তা'য়ালার নিকট কোন দিনের নেক আমলই এ দশদিনের নেক আমল চেয়ে অধিক প্রিয় ও গুরুত্ব পূর্ণ নয়। সুতরাং তোমরা বেশি বেশি তাকবীর, তাহমীদ, ও তাহলীল পাঠ কর।
(মুসনাদে আহমদ হাদিস নং৬১৫৪;মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা হাদিস নং ১৩৯১৭)।
পাঁচ;
৯,ই জিলহজ্ব তথা আরাফার দিন রোজা রাখা;
হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে-
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي قَتَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدِ اسْتَحَبَّ أَهْلُ الْعِلْمِ صِيَامَ يَوْمِ عَرَفَةَ إِلاَّ بِعَرَفَةَ .
আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আমি আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আরাফার দিনের রোযা সম্পর্কে আশা করি যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ হা, ১৭৩০; মুসলিম হা,২৬৩৬)।
ছয়;
আরাফার দিন তথা ৯,ই জিলহজ্ব অধিক পরিমাণে দোয়া'র ইহতেমাম করা;
নবী করিম (সা,) এরশাদ করেন-
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ"الخ
‘আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) কর্তৃক পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন; আরাফার দিনের দু’আই সর্বোত্তম দু’আ। (জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫৮৫)।
সাত;
৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত বালেগ নর-নারীর উপর প্রতি ফরজ নামাযান্তে একবার তাকবীরে তাশরীক পড়া ওয়াজিব।
তাকবীরে তাশরীক-
اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ وَلِله الحَمْد
জামাতে হোক বা একাকী আদায় করা হোক সর্বাবস্থায়-ই তাকবীর পড়তে হবে। পুরুষগণ উচ্চস্বরে এবং মহিলাগণ অনুচ্চস্বরে পড়বে।
আট:
১০ তারিখে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ওয়াজিব বিধান "কুরবানী" সম্পাদন করা;
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তান কুরবানীর দিন যত নেক আমল করে তম্মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে(পশু কুরবানীর মাধ্যমে) রক্ত প্রবাহিত করা। কুরবানীর পশু, কিয়ামতের দিন তার শিং,খূর এবং পশম সহকারে উঠবে। কুরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর দরবারে তা কবুল হয়ে যায়।
অতঃএব হে আল্লাহর বান্দাগন!তোমরা স্বতঃস্ফূর্ত হৃদয়ে কুরবানি কর।(তিরমিজি' ইবনে মাজাহ)।
নয়;
১০ ই জিলহজ্ব, নিম্নে বর্ণিত ঈদুল আযহার সুন্নাত গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা।
(ক,)প্রত্যুষে ঘুম থেকে উঠা। (বায়হাকী হা৬১২৬)।
(খ,)মিসওয়াক করা। (তাবয়ীনুল হাকা;১-৫৩৮)।
(গ,)গোসল করা। (ইবনে মাজাহ, হা:১৩১৫)।
(ঘ,)সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোষাক পরিধান করা। (বুখারী, হা,৯৪৮)।
(ঙ,)সুগন্ধি ব্যবহার করা।(মুস্তাদরাকে হাকেম, হা,৭৫৬০)।
(চ,) কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের নামাজের পর নিজের কুরবানীর গোশত থেকে আহার করা। (বুখারী,হা:৯৫৩)।
(ছ,) আগে আগে ঈদগাহে যাওয়া। (আবু দাউদ,হা:১১৫৭)।
(জ)পায়ে হেটে যাওয়া। (আবু দাউদ,হা:১১৪৩)।
(ঝ,) ঈদগাহে যাবার সময় স্বআওয়াজে তাকবীরে তাশরীক পড়া। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হা:১১০৫)।
(ঞ,) সম্ভব হলে ফিরার সময় ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফিরা। (বুখারী, হা: ৯৮৬)।
দশ:
১০ ই জিলহজ্ব (ঈদুল আজহার দিন) সহ আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলোতে (১১,১২,১৩, তারিখ)কোনো ধরনের রোযা না রাখা।
হাদিসে এসেছে-
أَيَّامُ التَّشْرِيقِ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ وَذِكْرٍ لِلَّهِ
“আইয়্যামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন”। (সহীহুল জামে হা/২৬৮৯)।
রাসূল (সা:) আরও বলেন-
لا تَصُومُوا هَذِهِ الأَيَّامَ فَإِنَّهَا أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ
“তোমরা এই দিনগুলোতে রোযা রাখিও না। কেননা, এগুলো পানাহারের দিন। (মুসনাদে আহমাদ,হা:১০৬৬৪)।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে উক্ত দিনগুলোর গুরুত্বানুধাবন করে, উপর্যুক্ত আমলগুলো পালন করার তৌফিক দান করুন। এবং আমাদেরকে সকল প্রকার গুনাহ্ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মু্ঈনুল ইসলাম, হাটহাজারি, চট্টগ্রাম।
-কেএল