শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী

চুক্তি ভেঙ্গে কোনো পশ্চিমা সেনা আফগানিস্তানে থেকে গেলে ব্যবস্থা নেবো : তালেবান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দোহা চুক্তিতে উল্লেখিত তারিখের পর আফগানিস্তানে থেকে যাওয়া পশ্চিমা সেনাদেরকে ‘দখলদার’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। তালেবান মুখপাত্র সোহেল শাহিন ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, রাজধানী কাবুল দখল করার কোনো অভিপ্রায় তালেবানের নেই। কিন্তু কোনো বিদেশী সেনা এমনকি কোনো সামরিক ঠিকাদারও এই নগরীতে থাকতে পারবে না। শাহিন বলেন, দোহা চুক্তি লঙ্ঘন করে যদি কোনো পশ্চিমা সেনা আফগানিস্তানে থেকে যায় তাহলে আমাদের নেতারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই প্রতিক্রিয়া দেখাব তবে বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আমাদের নেতৃবৃন্দ।

২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের সাথে স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট। তবে সেইসাথে গণমাধ্যমে এ খবরও বেরিয়েছে যে সব সেনা প্রত্যাহার না করে বরং হাজারখানেক মার্কিন সেনাকে আফগানিস্তানে মোতায়েন রাখা হবে। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর দূতাবাসগুলোর পাশাপাশি কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার লক্ষ্যে এসব সেনা আফগানিস্তানে থেকে যাবে বলে দাবি করা হয়েছে।

বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শাহিন দাবি করেন, তালেবান আফগানিস্তানে বিদেশী সেনা উপস্থিতির বিরোধী। তবে কূটনিতক ও এনজিও কর্মীসহ অন্য বেসামরিক বিদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হবে না।তালেবান মুখপাত্র বলেন, আফগান জনগণের স্বার্থে বিদেশী দূতাবাস ও এনজিওগুলোকে কাজ করতে দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বাগরাম সেনাঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেন।

দোহা চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরে যাবে এবং এর পরিবর্তে তালেবান এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে আইএস’সহ অন্য কোনো উগ্র গোষ্ঠীকে তৎপরতা চালাতে দেবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরকে আফগানিস্তান থেকে তার দেশের সব সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। ২০০১ সালের এই দিনে আমেরিকায় আল-কায়েদা হামলা চালিয়েছিল যার জের ধরে ওই বছরই আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে তালেবান সরকারের পতন ঘটায় মার্কিন বাহিনী। সূত্র : পার্সটুডে

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ