শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস

যে নিয়মকানুন মেনে চললে কিডনি রোগ নিয়েও ভালোভাবে বাঁচা যায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অনেকেই কিডনি রোগে ভুগছেন। কিন্তু এ রোগ নিয়েও ভালোভাবে বাঁচা যায়। তবে এর জন্য শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. মারজোয়া হুমায়রা।

কিডনি রোগ নিয়ে ভালোভাবে বাঁচার উপায় কী, এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. মারজোয়া হুমায়রা বলেন, কিডনি রোগে আমরা যদি কিছু নিয়মকানুন মেনে চলি, তাহলে আমরা দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারি।

প্রথমত আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটা নির্ণয় করতে হবে এবং রেগুলার একটা চেকআপে থাকতে হবে। ডাক্তার যেভাবে বলবেন। ধরেন, ছয় মাসে একবার বা এক বছরে একবার বা কারও ক্ষেত্রে দুই মাস পর পর, যখন লাগবে এক মাস পর পর, তাকে নিয়মিত একটা চেকআপে থেকে এবং প্রত্যেকটা প্যারামিটার কন্ট্রোল করা; যেমন ক্রনিক কিডনি ডিজিজ হওয়ার পরেও যে জিনিসগুলো কিডনিকে বেশি অ্যাফেক্ট করে বা ক্ষতিটা বাড়িয়ে দেয়; যেমন কারও যদি রক্তচাপটা খুব বেশি থাকে, তাহলে দেখা যাবে যে এটা কিডনিকে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সো, আমরা তার উচ্চ রক্তচাপটাকে খুব ভালোভাবে কন্ট্রোল করব, তার পর কারও যদি ইউরিনে খুব বেশি প্রোটিন চলে যেতে থাকে, সেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখব। যার প্রাথমিক ডিজিজ যেটা ছিল, যেমন যার নেফ্রাইটিস থেকে হয়েছে, তার নেফ্রাইটিসটাকে মনিটর করা; যার ডায়াবেটিস থেকে হয়েছে, ডায়াবেটিসটাকে নিয়ন্ত্রণ করা।

ডা. মারজোয়া হুমায়রা বলেন, কিডনি রোগটা হয়ে যাওয়ার পরে এটা থেকে পরবর্তী যে কমপ্লিকেশনগুলো হয়, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যেমন রক্তে চর্বির পরিমাণ যেন না বেড়ে যায়, রক্তের পরিমাণ যদি কমে যায়, সে ক্ষেত্রে তাকে প্রপার চিকিৎসা দেওয়া। কখনও আমরা তাকে আয়রন দিচ্ছি মুখে, কখনও আইভি আয়রন দিচ্ছি, কখনও রক্ত তৈরি হওয়ার যে উপাদান, সেটা আমরা বাইরে থেকে দিয়ে দিচ্ছি। যেটা তার জন্য উপযুক্ত, আমি ক্লিনিক্যালি দেখে যেটা মনে করব দেওয়া দরকার, সেটা করব। হারমেটাবলিজমের যে ভূমিকা কিডনি রাখে, সেটা কী অবস্থায় আছে, সেটার জন্য ক্যালসিয়াম, ফসফেট সাপ্লিমেন্ট দেওয়া লাগে। অম্ল-ক্ষারের... কিডনি খারাপ থাকলে মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস হয়ে যায়। সেটার জন্য আমরা চিকিৎসা দিয়ে থাকি। সোজা কথা, কিডনি যা যা কাজ করে, সে কাজগুলো যেন ঠিকঠাক চলে যায় বা হতে থাকে, সে জন্য যে ওষুধগুলো বাইরে থেকে দিতে হবে, সেগুলো দেওয়া। আর খাদ্যতালিকা মেনে চলা।

কিডনি রোগীকে শুধু ওষুধ খেলেই চলবে না, জীবন যাপনের ধরনেও পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই ভালো থাকা যাবে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ