শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস

আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগড় মাওলানা কারী সিদ্দীক আহমাদ বান্ধাবী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।

হযরত মাওলানা কারী সিদ্দীক আহমাদ বান্ধাবী রাহিমাহুল্লাহু তাআলা৷ হিন্দুস্তানের একজন আলেম ও আদর্শবান মানুষ ছিলেন৷ ছাত্র-উস্তাদ সম্পর্কের আদর্শ নীতি বিষয়ে লেখে গেছেন মহা মূল্যবান কিতাব। বর্তমান সময়ে সেই মহারতি উপদেশগুলোই ছাত্র-উস্তাদগণের সুন্দর জীবন গড়ার পথ-পাথেয়। ছাত্রদের প্রতি তিনি কেমন তার কিছু নমুনা।


সফরের ঘটনা৷ সাথে একজন অসুস্থ ছাত্র ছিলো। পথিমধ্যে অসুস্থতার তীব্রতা এবং সফরের ক্লান্তিতে বমি হওয়া শুরু হয়। বমি বেশি বেশি হওয়ায় ছাত্রের শরীর ও কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তিনি ছাত্রের শরীর ও কাপড় নিজ হাতে পরিস্কার করতে শুরু করেন। সফরের সাথীরা তাঁকে বার বার নিষেধ করতেছিলো। তারা কাজটি করে দিবে বলে আশ্বস্ত করছিলো। কিন্তু তিনি সেসব কথাতে কান দেননি। অবশেষে তিনি নিজেই ছাত্রকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেন।


নিজ মাদরাসার ঘটনা। আঘাতের কারণে এক ছাত্রের শরীরে প্রচন্ড ঘা হয়। ঘা এর দুর্গন্ধ এমন তীব্র আকার ধারণ করেছিলো যে, ঐ ছাত্রের থাকার কামরার পাশ দিয়েও কেউ আসা-যাওয়া করতো না। কিন্তু তিনি সংবাদ পেয়ে সেই ছাত্রের শরীর, বিছানাপত্র ও কাপড়-চোপড় নিজ হাতে পরিস্কার করে দেন।


মাদরাসায় অনেক অন্ধ ছাত্র ছিলো। তারা নিজের কাজ করতে অসহায় ছিলো। তিনি সেসব অন্ধ ছাত্রদেরকে গোসল করিয়ে দিতেন। কাপড়-চোপড় ধোয়ে দিতেন।


শুরুর দিকে মাদরাসায় রান্নার জন্যে জঙ্গল থেকে লাকড়ি যোগাড় করতে হতো। কাজটি তিনি নিজেই করতেন। দূর-দূরান্ত জঙ্গলে যেতে হতো। খেজুর কাটার পাশ দিয়ে যেতে হতো। একবার এক ছাত্রের পায়ে বড় কাটা বিঁধে যায়। অন্যান্য ছাত্ররা কাটে বের করতে অক্ষম হয়ে যায়। ছাত্রটি ব্যথায় কাতরাচ্ছে। হযরত জানতে পেরে ঐ ছাত্রকে বলেন, এদিকে আসো। আমি ভালো কাটা বের করতে পারি। ছাত্রটিকে শুয়ে দেন। পা উপরে উঠিয়ে মুখের কাছে নিতে শুরু করেন।

অন্যান্য ছাত্ররা তা দেখে জোরে চিৎকার করে বলতে লাগলো, উস্তাদজী! এই কাজটি আমরা করবো। আপনি করবেন না। তিনি তাদের কথা শুনেননি। ছাত্রের পা মুখের কাছে নিয়ে দাঁত দিয়ে কামড় দিয়ে কাটা বের করে আনেন। ছাত্ররা লজ্জায় মুখ নিচু করে নিলো। ছাত্রদের মনের প্রফুল্লতা ফিরিয়ে আনার জন্যে তিনি বলেন, ‘এই কাজ করার দায়িত্ববান আমিই। এই কাজ করা আমারই কর্তব্য৷ কারণ, এখানে আমিই তোমাদের মা-বাব’৷

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ