শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী

হাদিস ও ইতিহাসের নিরিখে মুসলমানদের প্রথম কিবলা ‘বায়তুল মোকাদ্দাস’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আমিনুর রহমান হাসান।।

ইসলামের তিন পবিত্র স্থানের মধ্যে অন্যতম ‘মসজিদে আকসা’। এটি বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত। বাইতুল মুকাদ্দাস মুসলিমদের প্রথম কিবলা।

হাদিসের ভাষ্যমতে, পবিত্র কাবাঘর নির্মাণের দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর জেরুসালেমে বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মিত হয়। তারপর পবিত্র এ ঘর পুনঃনির্মাণ করেন হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামসহ অনেকে। পবিত্রতার দিক থেকে মক্কা মদিনার পরেই তৃতীয় স্থানে পবিত্র বাইতুল মাকদিসের অবস্থান। নবী-রাসুলদের স্মৃতি বিজরিত এ মসজিদ। মেরাজে যাওয়ার পূর্বে এ মসজিদে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমামতি করেন নবী-রাসুলদের।

রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় মুসলমানদেরকে বাইতুল মাকদিস বিজয়ের সুসংবাদ দেন এবং সেটাকে কিয়ামতের অন্যতম নিদর্শন বলেও আখ্যায়িত করেন। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনকালে বাইতুল মাকদিস সম্পূর্ণ রোমান খ্রিস্টানদের অধিকারে ছিলো। রোম ছিলো তখনকার পরাশক্তি।

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহুর যুগে (১৬হিজরী/৬৩৭খ্রী) বাইতুল মুকাদ্দাস মুসলমানরা জয় করেন। পবিত্র করেন সকল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের প্রত্যাবর্তনস্থল খ্যাত এ ভূমিকে কুফুরীর নোংরামি থেকে ।

ইসলামের ইতিহাসে বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয় হয়েছে দু'বার। প্রথমবার হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহুর যুগে ১৬ হিজরী ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে। দ্বিতীয়বার বীর সিপাহসালার সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর সময়ে ৫৮৩ হিজরী ১১৮৭ খ্রীষ্টাব্দে।

বাইতুল মাকদিস বিজয় সম্পর্কে আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যদ্বাণী থেকে পাই, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ইহুদিদের সাথে তোমাদের লড়াই হবে। তাদেরকে তোমরা ছত্রভঙ্গ করে দিলে পাথর ও গাছ তোমাদের ডেকে বলতে থাকবে - হে মুসলিম! আমার পিছনে ইহুদি লুকিয়েছে, এসো! ওকে হত্যা করো।’ (সহীহুল বুখারী ৩৩৯৮, সহীহুল মুসলিম ৭৫২২)।

অন্য হাদিসে হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না ইহুদিদের সাথে মুসলমানদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হবে। যুদ্ধে ইহুদিদেরকে হত্যা করা হবে। কোনো ইহুদি পালিয়ে গাছ বা পাথরের পেছনে আত্মগোপন করলে সেই গাছ বা পাথর মুসলমানদের ডেকে বলতে থাকবে, হে মুসলিম! হে আল্লাহর বান্দা! আমার পিছনে ইহুদী লুকিয়েছে, এদিকে এসো! একে হত্যা করো। তবে গারকাদ গাছ এ কথা বলবে না। কারণ তা ইহুদিদের গাছ।’ (সহীহুল মুসলিম ৭৫২৩)।

বাস্তবেই সেদিন গাছ কথা বলবে। আল্লাহ পাক জড়বস্তুকে সেদিন কথা বলার শক্তি দিবেন। সেদিন মুসলমানদের জয় হবে। সেদিন বাইতুল মুকাদ্দাস আবারো বিজয় হবে। আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন, ‘আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় অতি নিকটেই। মুমিনদের জন্য সুসংবাদ!’ (সুরা সফ, ১৩)।

-কেএল/এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ