আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। সহিংস এ হামলায় আহত হয়েছেন ২০৫ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ।
শুক্রবার রাতে আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় মুসল্লিদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা মুসল্লিদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে।
ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, সহিংসতায় আহত ৮৮ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে যাদের একজনের একটি চোখ নষ্ট হয়েছে, দুজনের মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন এবং দুজনের চোয়াল ভেঙে গেছে। এ সময় কয়েকজন মুসল্লিকে ইসলায়েলি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার জন্য ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। এই ইস্যুতে তিনি জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবযাদে বলেছেন, পবিত্র কুদস দিবসে মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার কঠোর নিন্দা জানায় ইরান।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এ ধরনের আগ্রাসী মনোভাব এবং উস্কানিমূলক আচরণের অবসান ঘটাতে হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন অবসানের জন্য কাতারের মন্ত্রণালয় দ্রুত আন্তর্জাতিক সম্পদ্রায়কে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানায়।
কুয়েত এ ঘটনার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এই হামলা মুসলমানদের অনুভূতিতে চরম আঘাত দিয়েছে। এটি মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন।
একইভাবে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
সৌদি আরব বলেছে, ইসরায়েলের একতরফা পদক্ষেপ আবার শান্তি আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা নস্যাৎ করবে।
সূত্র: আলজাজিরা ও পার্সটুডে
এনটি