মাহদী হাসান চৌধুরী।।
আল্লাহ তাআ'লা শেষ নবীর উম্মতের কাছে কোরআন পাঠিয়েছেন তিনটি উদ্দেশ্যে– ১. তিলাওয়াত করা। ২. কোরআনের তরজমা বা অনুবাদ পাঠ করা। ৩. কোরআনের নির্দেশিত বিষয় পালন করা। নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বিরত থাকা।
কোরআন শব্দ - অর্থ দু'টির সমন্বয়। তবে অর্থ না বোঝে নিষ্ঠা ও ভক্তির সাথে শুধু মাত্র তিলাওয়াত করলেই সাওয়াব বা প্রতিদান পাওয়া যাবে। কিন্ত অনুবাদ পাঠের কথাও শরিয়তে নির্দেশিত। আল্লাহ তাআ'লা বলেন— ❝উপদেশ গ্রহণের জন্য আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, আছে কি কোন উপদেশ গ্রহণকারী? ❞
অতঃএব কোরআনের আহবান বোঝে, আবেদন উপলব্ধি করে পরিপূর্ণভাবে উপদেশ গ্রহণ করার জন্য এর তরজমা পাঠ সকলের জন্যই একান্ত প্রয়োজন।
এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই যুগে যুগে মুসলিম মনীষীগণ বিভিন্ন ভাষায় কোরআনের অনুবাদ করেন। নিকট অতীতে ভারতবর্ষের সু-চিন্তক আলেম শাহ ওয়ালি উল্লাহ দেহলভি রাহি. ফার্সিতে কোরআন অনুবাদ করেন। পরবর্তীতে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে উর্দু ভাষায় এই কাজ করা হয়। বাঙলা ভাষায়ও কোরআন অনুবাদে বেশ গুরুত্বারোপ করেন দেশীয় উলামায়ে কেরাম।
প্রত্যেক সাধারণ মানুষ কোরআন তিলাওয়াত করবে। পাশাপাশি সরল অনুবাদ পাঠ করবে। আর একজন আলেম তিলাওয়াত করবেন 'তাদাব্বুর'-এর সাথে। কোরআন নিয়ে গবেষণা করা, এর থেকে যাবতীয় বিষয়ের সমাধান বের করাও তার দায়িত্বে।
এ দায়িত্ব সকলের না। সাধারণ মুসলমান আলেমদের থেকেই কোরআনের ব্যখ্যা গ্রহণ করবে। এবং ইসলামি জীবন গঠন করতে সবাই এতে বাধ্য। কোরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি অনুবাদ পাঠের আগ্রহ প্রতিটি মুসলমানের অন্তরে জাগরিত হোক।
-এটি