মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

পরাজয়ের কারণ জানতে চাইলেন অমিত শাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয় হলো কেন? কারণ জানতে চেয়েছেন অমিত শাহ। রবিবার দুপুরে এই কথা জানিয়েছেন ভারতের কলকাতা২৪/৭ পত্রিকা।

পত্রিকাটি জানায়, রবিবার ভোট গণনাপর্ব চলার সময়েই কার্যত কৈলাস বিজয়বর্গীয় মেনে নিয়েছেন বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। পাশাপাশি, টালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয় এবং চুঁচুড়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায়, হাবড়ায় রাহুল সিনহা-র পিছিয়ে থাকার ঘটনাকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলেনও কৈলাস বিজয়বর্গীয় মন্তব্য করেছেন।

কলকাতা২৪/৭কে কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফল পাওয়ার পর বিজেপি নেতৃত্বে তা নিয়ে পর্যালোচনা করবে। বাংলার মানুষ হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চান, এটা আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে।

বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্বে রাজ্যে এসে একাধিক বার ২০০ আসনে জেতার দাবি করে গেছেন বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । কিন্তু ভোটগণনার গতিপ্রকৃতির ইঙ্গিত দিচ্ছে ১০০ আসনেও পশ্চিমবঙ্গে জিততে পারবে না বিজেপি। যদিও ৩ বছর আগে লোকসভা ভোটে অনেকটাই হিসেব মিলিয়েছিলেন অমিত শাহ। ২০১৯-এর রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের অর্ধেক আসনে জেতার দাবি করেছিলেন তিনি। বিজেপি জিতেছিল ১৮টিতে।

তবে এর আগে দিল্লিসহ দেশের বহু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অমিত শাহের ভবিষ্যৎবাণী মেলেনি। তাই অমিত শাহ যখন বলছিলেন ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি রাজ্যে জিতবেন তখন একটা প্রশ্ন উঠছিল রাজনৈতিক মহলে। শেষ পর্যন্ত সেই প্রশ্নই বাস্তব হতে চলেছে। আর এই ফলকে বিজেপি তাদের পরাজয় বলেই মেনে নিয়েছেন।

আসলে বিজেপি এর রাজ্যে নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে আসা সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের দলে জায়গা দিয়ে সঠিক কাজ করেনি বলে বিজেপির একটি অংশ বলছেন।

বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ‘নব্য বিজেপি, যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা এবং তাদের গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী করা এই পরাজয়ের কারণ হতে পারে।’ এদিকে বিজেপির আরও এক নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘মানুষ যখন আমাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন তখন বুঝতে হবে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা রেখেছেন। তা ছাড়া বিজেপির প্রার্থী নির্বাচন সঠিক নাও হতে পারে।’ সূত্র: কলকাতা২৪/৭

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ