আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ধর্মীয় সভাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার ও কমিটি গঠন নিয়ে বিতর্কের জেরে কক্সবাজারের উখিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দুই পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন।
উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের দক্ষিণ ক্লাশা পাড়া প্রাচীন বৌদ্ধ মহাশ্মশান বৌধি জ্ঞান ভাবনা কেন্দ্রের আধিপত্য বিস্তার ও কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে ।
আহতরা হলেন- প্রজ্ঞা রত্ন ভান্তে (৫৫), রনি বড়ুয়া (২১), রুবেল বড়ুয়া (২৫), বাপ্পু বড়ুয়া (২৮) ও রুবেল বড়ুয়া। তাদেরকে উখিয়া ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়ুয়া সম্প্রদায়ের ছয়টি সমাজের সমন্বয়ে প্রাচীন বৌদ্ধ মহাশ্মশান ও বৌধি জ্ঞান ভাবনা কেন্দ্র পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু রনজিত বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তি আরও কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ভাবনা কেন্দ্রটি দখলের প্রক্রিয়া শুরু করে। এ সময় তারা সংঘদানে অংশ গ্রহণ করতে আসা লোকদের হামলা ও মারধর করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
স্থানীয় মৃদুল বড়ুয়া ও নসু বড়ুয়া অভিযোগ করে বলেন, ভাবনা কেন্দ্রে প্রজ্ঞা রত্ন ভান্তের স্বর্গীয় মাথার অস্ট পরিষ্কার ও ধর্মীয় সভা ছিল। ওই সময় একপক্ষ এসে ভান্তেসহ আমাদের ওপর হামলা চলায়।
মাস্টার পরিমল বড়ুয়া, পলাশ বড়ুয়া ও বিজন বড়ুয়া তা অস্বীকার করে বলেন, বুধবার দুপুর ২টায় আমাদের পূর্ব নির্ধারিত পরলোকগত কল্যাণ মিত্র জ্ঞাতি স্বরণে পূণ্যদান ও বৈশ্বিক করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে বৈকালিক সংঘদান অনুষ্ঠান ছিল। সংঘদানে ছয়টি সমাজের বৌদ্ধ বিহারের ভান্তেসহ প্রায় ছয়শ দায়েক ভাবনা কেন্দ্রে আসলে বাধা দেয় অপর একটি পক্ষ। এমনকি ছয়টি বৌদ্ধ মন্দির থেকে আসা ভান্তেকে ভাবনা কেন্দ্রে ধর্মীয় সভায় অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছিল না।
তারা আরও অভিযোগ করেন, ওই সময় রনজিত বড়ুয়ার ইন্ধনে একটি পক্ষ রামু ও নাইক্ষ্যং ছড়ি থেকে ভান্তে এনে ভাবনা কেন্দ্রে জমায়েত করে রাখে, যা খুবই দুঃখজনক।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দা, কিরিচ ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হন।
খবর পেয়ে উখিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে দুই ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। উখিয়া থানার মনিরুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
এনটি