আওয়ার ইসলাম: ভোলায় পুকুরের পানিতে ডায়রিয়া জীবাণু (ই-কলআই) শনাক্ত হয়েছে। হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নমুনা পরীক্ষা করে এ জীবাণুর সন্ধান পেয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। গত ৭ দিনে আড়াই হাজার রোগী ডায়রিয়ায় আক্রন্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক জনের।
এমন পরিস্থিতিতে ডায়রিয়া মোকাবেলায় জেলায় জরুরি ভিত্তিতে ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধিতে করা হচ্ছে মাইর্কিং। নদী ও খালের পানিতে লবনাক্ততার পরিমান বেড়ে যাওয়া, বৃষ্টি না হওয়া এবং গরমের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে ডায়রিয়া সংক্রমন বেড়েছে বলে মনে করছে ভোলার স্বাস্থ্যবিভাগ।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভোলার বিভিন্ন হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৩০০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীদের চাপ। শয্যা সংকটে রোগীদের বাধ্য হয়েই মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও ডাক্তাররা।
ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ৩ দিন আগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যবিভাগের একটি টিম ভোলার খাল ও পুকুরের পানির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআর এ পাঠায়। সেখান নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু (ই-কলআই) পাওয়া গেছে। যার ফলশ্রুতিতে আমরা ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। তারা গ্রামেগঞ্জে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ডায়রিয়া থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পাড়া মহল্লায় শুরু হয়েছে মাইকিং।
তিনি আরও বলেন, খাওয়া, গোসল ও গৃহস্থালী কাজে বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার না করা এবং হাইজিং মেইনটেন না করায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। তাই সকলকে হাইজিং মেইনটেইন এর পাশাপাশি পুকুর ও খালের পানি পরিহার করে টিউবওয়েলের পানি ব্যবহারের পরামর্শ দেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান এই কর্মকর্তা।
ভোলা সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে জেলায় ২ হাজার ৭০২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদিকে এক মাসে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬ হাজারের বেশি।
-এটি