মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে রোজাদারের বিশেষ পুরস্কার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মূল: মুফতি তাকি উসমানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে চার কাজ বেশি বেশি করার নির্দেশ দিয়েছেন। একটি হাদিসে তিনি বলেছেন, এই মাসে তোমরা চার কাজ খুব বেশি করে করো। এর মাঝে দু'টি কাজ এমন যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন হবে। একটি হলো, কালেমায়ে তাইয়েব-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- বেশি বেশি পড়তে থাকো। আরেকটি হলো বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা।

আর বাকি দু'টি জিনিস এমন যা তোমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যা থেকে তোমরা অমুখাপেক্ষী হতে পারবেনা। একটি হলো, অধিক পরিমাণে জান্নাত লাভের দোয়া করা এবং আরেকটি হলো, জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করা। রমজানের শেষ দশককে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহান্নাম থেকে মুক্তির দশক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

রমজানের প্রথম ও দ্বিতীয় দশক রহমত ও মাগফেরাত লাভের সাথে সাথে শেষ দশকে মুসলমানরা এই পুরস্কার লাভ করে। জাহান্নাম থেকে মুক্তি বছরের অন্য কোনও সময় এতো ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়না।

একাধিক হাদিসে রমজানের এই বিশেষ পুরস্কারের বর্ণনা এসেছে। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজানের প্রতিদিন আল্লাহ তায়ালা এমন অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যারা জাহান্নামের শাস্তি ভোগের উপযুক্ত ছিলো। আরেক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তায়ালা রমজানের শেষ দিবসে রমজানের প্রথম দিবস থেকে শেষ দিবসের আগ পর্যন্ত যতজন বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন সমপরিমাণ বান্দাকে মুক্তি দান করেন।

আরেক হাদিসের বর্ণণা এমন, রমজানের শেষ দিবসে সকল রোজাদারকে মাফ করে দেওয়া হয় এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করা হয়। সাহাবারা রা. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ, শবে কদরের ফজিলতের কারণে কি রমজানে মুক্তি দেওয়া হয়? রাসুল সা. উত্তরে বললেন, না। (শবে কদরের ফজিলত তো ভিন্ন)।

বরং নিয়ম তো হলো, যখন শ্রমিকের কাজ শেষ হলে তাকে পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হয়। এরদ্বারা উদ্দেশ্য হলো, রোজাদার রোজা রাখার মাধ্যমে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। এজন্য আল্লাহ তায়ালা রমজানের শেষে তাদেরকে গুনাহ থেকে ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করার মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ