মূল: মাওলানা মুফতি আব্দুর রউফ সাখারডবি
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান
আল্লাহ তায়ালা মদপান করাকে কোরআনে সুস্পষ্ট আয়াতের মাধ্যমে হারাম ও নাজায়েজ ঘোষণা করেছেন। চাই তা অল্পপরিমাণ হোক বা বেশি। এটি একটি নিকৃষ্ট অভিশাপ। যার কারণে মানুষ আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরে যায় এবং আল্লাহ তায়ালার অভিশাপযোগ্য হয়ে পড়ে। আর দুনিয়ার জীবনে যারা মদ পান করবে পরকালে তারা জান্নাতি শরাব থেকে বঞ্চিত হবে।
আর হাদিসের ভাষ্যমতে মদ পান সকল গুনাহের মূল। আর মদ পান করার পর মানুষ হুঁশ হারিয়ে মাতাল হয়ে যায় এবং তার বুদ্ধিলোপ পায়। এ কারণে নেশাকারী ভালোমন্দ ও সঠিক-বেঠিকের মাঝে পার্থক্য করতে পারেনা। ফলে সে আবোলতাবোল বকতে থাকে, মারামারি বাধিয়ে অন্যকে কষ্ট দেয় এবং এমনসব কাজ করে যা পরস্পরের মধ্যে বিবাদ উস্কে দেয়।
সুরা মায়েদায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে ইমানদারগণ, মদপান, জুয়া এবং মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণয়ের তীর সবগুলো নাপাক শয়তানী কর্মকাণ্ড। সুতরাং তোমরা তা থেকে বেচে থাকো যেনো সফলকাম হতে পারো। শয়তান তো এটাই চায় যে মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মাঝে শত্রুতা এবং বিদ্বেষের মাঝে ফেলতে এবং তোমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার জিকির ও নামাজ থেকে বাধা প্রদান করতে। সুতরাং তোমরা কি নিবৃত্ত হবেনা? (সুরা মায়েদা, আয়াত ৯০-৯১)।
এছাড়াও একাধিক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদপানের অনিষ্টতা ও ক্ষতির কথা বলেছেন। এক হাদিসে রাসুল সা. বলেছেন, তোমরা মদপান করা থেকে দূরে থাকো। কারণ তা সকল পাপের চাবিকাঠি। (শুয়াবুল ঈমান)
হজরত ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু মদ। আর প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু হারাম। যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে মদ পান করবে এবং এমন অবস্থায় মারা যাবে যে মদপানে অভ্যস্ত ও পানরত ছিলো এবং তাওবা-ও করেনি সে পরকালে জান্নাতি শরাব পান করতে পারবেনা।
আরেকটা ব্যাপার লক্ষণীয়, অনেক মানুষ দোকানে মদ বিক্রি করে বা হোটেল বা বারে আপ্যায়ন করে থাকে। আপনি চিন্তা করুন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের অভিশাপের যোগ্য তারা হয়ে থাকে। মদ প্রস্তুতকারক তো অভিশাপযোগ্য হবেই সাথে সাথে মদের ব্যবসায়ী, পানকারী ও আপ্যায়নকারী সকলের উপর আল্লাহ তায়ালার অভিশাপ আসে।
-এটি