আওয়ার ইসলাম: অক্সিজেন সংকটের কারণে প্রতিদিন ভারতে মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের। শুধু দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫০ এর ও বেশী। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দেহ সৎকার করার ক্ষেত্রেও হাজার বাধা বিপত্তি পার হতে হচ্ছে শোকস্তব্ধ আপনজন হারানো পরিবারগুলোকে। তাদের আপনজনকে সুস্থ করার জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারেনি দেশটির সরকার।
এবার মৃত্যু হওয়ার পরও তাদের পরিজনের দেহ দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের ও সংকট দেখা দিয়েছে দিল্লিতে। নেই শ্মশানে কোনো জায়গা। এত দিন একটি মৃতদেহ দাহ করতে অন্তত ১০ ঘণ্টা লাইনে থাকতে হচ্ছিল মৃতের পরিবারের সদস্যদের। এখন এতক্ষণ অপেক্ষা করেও শ্মশানে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না মৃত্যুপুরী দিল্লিতে। অস্থায়ী ভাবে গড়ে তোলা শ্মশানে দাহ করার জন্য লোকও পাওয়া যাচ্ছে না এখন।
এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর্বে দিল্লির Sarai Kale Khan cremation site-য়ে প্রতিদিন মোটামুটি ৬০-৭০ দেহ সৎকার হচ্ছে। যদিও এখানে ২২ জনের ব্যবস্থা বহাল। সেটা তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে। এখন দেখা হচ্ছে, যদি সংখ্যাটা ১০০-য় নিয়ে যাওয়া যায়! কিন্তু এত দ্রুত সব ধরনের কোভিডবিধি মেনে মেক শিফ্ট শ্মশান তৈরি করে ফেলাও কঠিন হচ্ছে। অচিরেই এরকম ২০টি অস্থায়ী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। আরও ৮০টি করা হবে। এমনিতেই সারা শহরে ২৫টি স্থায়ী শ্মশান আছে।
নেট দুনিয়া আজ হতাশায় ছেয়ে গিয়েছে। আজ দিল্লি ঠিক যেন মৃত্যুপুরী। মির্জা গালিব ও দিল্লিকে মৃত্যুপুরী বলার সময় এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কল্পনা করেননি। কে এর জন্য দায়ী? কিসের উন্নয়ন? কিসের বিকাশ? যেখানে জীবিত অবস্থায় অক্সিজেন পাওয়া যায় না, মৃত্যুর পর শ্মশান মেলে না, শ্মশানে ও কাঠের সংকট, দাহ করার লোক নেই! এই শহর কি শুধু মৃত্যুপুরী না আরো বেশী কিছু? দেশের ক্ষমতায় উপবিষ্ট শ্রেণীকে মানুষের উন্নতির চিন্তার থেকে ঘৃণা প্রচারের জন্য যখন বেশি ভোট মেলে তখন এমনই পরিস্থিতি খুব অপ্রত্যাশিত কি? প্রশ্ন করছেন বহু নেট নাগরিক।
সূত্র: NB TV
এনটি