আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভারত ফেরত ১২ জন করোনা রোগী ‘পালিয়ে গেছে’ । অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের অবহেলার কারণে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এতে করে সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তারা পর্যায়ক্রমে পালিয়ে যান। শনিবার তা জানাজানি হলে করোনা ওয়ার্ডের সেবিকারা রেজিস্ট্রার খাতায় তাদের নামের পাশে পলাতক লিখে রাখেন।
রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় ও যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে সাংবাদিকদের বলেছিলেন। তবে সোমবার স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকেরা ভিড় করলে দশ জন পালিয়ে যাওয়ার কথা জানান হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, রোগী পালানোর কথা শুনে আমি রবিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সাথে কথা হয়েছে। যে দশজন রোগী পালিয়েছে, তাদের নাম ঠিকানা সঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপকুমার রায় বলেন, যারা পালিয়ে গেছে তালিকা করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। আশপাশের জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে জানানো হচ্ছে।
২৩ এপ্রিলের পলাতক এ রোগীরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামরে স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একরামের স্ত্রী রুমা (৩০), জালাল উদ্দিনের পুত্র মজিদ (৩২), ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মনোতোষের স্ত্রী শেফালী রাণী (৪২), যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দীপাড়ার সালামত গাজী (৪৯), সদরের রামাকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নার্গিস বেগম (৫০), খুলনার পাইকগাছার জামরাইল গ্রামের আমিরুল ইসলাম (৫২), রূপসার শের আলীর পুত্র সোহেল (১৭), যশোর শহরের বিমান অফিস মোড়ের আবুল কাসেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৭),বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের ফজের আলীর ছেলে সহিদুল ইসলাম (৪৫)।
২০ এপ্রিল ভর্তি হয়ে ২১ এপ্রিল পালিয়ে যান যশোর শহরের বিমান অফিস মোড়ের গ্যারেজ এলাকার ভদ্র বিশ্বাসের পুত্র প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭), খুলনা সদরের কলিম কৃষ্ণের পুত্র বিবেক আনন্দ (৫২)।
যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে পুলিশ প্রহরার মাধ্যমে সরাসরি যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। এরপর তাদের দায়িত্ব বর্তায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও যশোর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর।
এনটি