আওয়ার ইসলাম: গণপরিবহন চালুর দাবি করেছেন দোকান মালিকরা। তাদের দাবি গণপরিবহন না খোলায় ক্রেতারা মার্কেটে আসতে পারছেন না। আবার কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করায় হতাশা ব্যক্ত করেন তারা।
রবিবার সারাদেশে দোকান, শপিং মল খুলে দেওয়া হয়। মন্ত্রীপরিষদের ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, 'বেচাকেনা নাই’। ' দোকান খোলা রাখার সময় বাড়ানোয় খানিকটা স্বস্তি জানিয়ে এ ব্যবসায়ী নেতা বিধিনিষেধের সময় সময় বাড়ানোয় খানিকটা হতাশা জানান।
ইসলামপুরে একরাম উদ্দীন প্লাজার এক বিক্রেতা নাদীম শিকদার বলেন, শুনলাম লকডাউন নাকি আবার বাড়িয়ে দেবে। তাইলে সরকার কেন শুধু শুধু দোকান খুলতে দিল। ক্রেতারা গণপরিবহন না পেলে আমাদের এখানে কীভাবে মাল কিনতে আসবে। সরকারে উচিত গণপিরবহন চালু করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।
সিদ্দিকবাজার, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, বঙ্গবাজার ক্ষুদ্র গার্মেন্টস সংগঠনের এ নেতা বলেন, 'ঢাকার আশপাশের লোকজন ঢাকায় ঢুকতে পারে না। আমরা মাতুয়াইল থেইকা সিনজি কইরা আয়া গুলিস্তান নামতেছি, তাও দাঁড়ায় থাকতে হয় পাওয়া যায় না।'
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার জনসমাগম এড়াতে প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরো বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সে সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু ছিল।
এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের অফিস ও পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সতর্কতার অংশ হিসেবে সীমিত জনবল দিয়ে বিভিন্ন শাখা চালু রেখেছে ব্যাংকগুলো।
এনটি