আওয়ার ইসলাম: কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর সাবমেরিনটিকে তিন খণ্ডের টুকরা অবস্থায় সমুদ্রের নীচে পাওয়া গেছে। ডুবোজাহাজটিতে যে ৫৩ জন ক্রু ছিলেন তাদের সবাই মারা গেছেন।
রোববার (২৫ এপ্রিল) দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, সাবমেরিনটির কাছ থেকে সবশেষ যে বার্তা পাওয়া গেছে তাতে জানা যায় এটি সমুদ্রের আটশ’ মিটার গভীরে ডুবে গেছে। সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে ধার নেওয়া একটি উদ্ধারকারী যানের সাহায্যে ছবি তুলে তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।
সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল রোববার জানানো হয় যে, জাহাজের কিছু ভগ্নাবশেষ ও জায়নামাজের মতো কিছু জিনিস উদ্ধার করার পর তারা নিশ্চিত হন যে জাহাজটি ডুবে গেছে।
স্ক্যান থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সাবমেরিনটি সমুদ্রের সাড়ে আটশ’ মিটার গভীরে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। সচল অবস্থায় এত গভীরে যাওয়ার সক্ষমতা এই সাবমেরিনের নেই।
নৌবাহিনীর প্রধান ইওদো মারগোনো রোববার বলেছেন, জাহাজ থেকে ভেসে আসা আরও কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের নোঙর এবং ক্রুদের নিরাপত্তা স্যুট।
তিনি বলেন, ‘কেআরআই নানগালা ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গেছে। জাহাজের খোল, জাহাজের পেছনের অংশ এবং জাহাজের মূল অংশ- সব আলাদা হয়ে গেছে। প্রধান অংশও ভেঙে গেছে’ বলেন তিনি।
সাবমেরিনটি মহড়া চালানোর সময় গত বুধবার নিখোঁজ হয়ে যায়। তখন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, জাহাজটি যখন নিখোঁজ হয়ে যায় তখন তাতে তিনদিনের অক্সিজেন মজুদ ছিল।
এর আগে শনিবার (২৪ এপ্রিল) নৌবাহিনীর প্রধান ইওদো মারগোনো বলেছিলেন, যেখান থেকে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়েছে তার কাছেই এর কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেছেন, স্ক্যান করে দেখা গেছে ডুবোজাহাজটি সমুদ্রের যতোটা গভীরে চলাচল করতে পারে, এটি তার চেয়েও অনেক গভীরে তলিয়ে গেছে। একারণেই তারা সাবমেরিনটি ডুবে যাওয়ার কথা ঘোষণা করছেন।
বালি দ্বীপের কাছে সমুদ্রে গত বুধবার মহড়ায় অংশ নেয় কেআরআই নাংগালা-৪০২ নামের এই সাবমেরিনটি। এসময় এটি ডুব দেওয়ার জন্য অনুমতি চাইছিল।
জার্মানির তৈরি এই সাবমেরিনটি ৪০ বছরেরও বেশি পুরনো। ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে তৈরি করা হয়েছিল এটি। তবে ২০১২ সালে এতে কিছু কাজ করা হয়।
ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সাবমেরিন আছে। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম কোনও সাবমেরিন নিখোঁজ হলো এবং শেষ পর্যন্ত সেটি আর ফিরে এলো না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এনটি