আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বোন তাহেরা বেগমের বাস ভবনে পেছনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মন্ত্রী ও মেয়রের বোনের বাসা তাহেরা মঞ্জিলকে লক্ষ্য করে এ ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কোম্পানীগঞ্জ থানার (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বাসার নিরাপওায় পুলিশ মোতায়েন করে।
তাহেরা বেগম জানান, তার বড় ছেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে বড় ছেলের সঙ্গে তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে হয়ত মির্জা কাদেরের কয়েকজন অনুসারী এই ককটেল হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজে আমরা বাসার ভিতরে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।
সেতুমন্ত্রী ও মেয়র মির্জা আবদুল কাদেরের ভাগনে হুমায়ন রশীদ মিরাজ অভিযোগ করে জানান, আমার বড় ভাই মন্জু ঢাকায় অবস্থান করছে। বাসার ভিতরে মা, আমি এবং আমার স্ত্রী ছিলাম। রাত সোয়া ১২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কেচ্ছা রাসেল, সাজু, দীপক, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জিসানসহ ১০-১৫ জন আমাদের বাসার পিছন থেকে বাসাকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালায়।
এ সময় তারা বিকট শব্দে ১৫টির মত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমরা বাসার ভিতর থেকে জানালা দিয়ে কয়েকজনকে দেখতে পাই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ। কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এনটি