মূল: মুফতি তাকি উসমানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান কে বরকতময় মাস বলেছেন। এ মাসে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি বিশেষ পুরস্কার প্রদানের ব্যাপারে বিশদভাবে উল্লেখ করেছেন। এরদ্বারা উদ্দেশ্য হলো এই বরকতময় মাসের কোনো সময় যেনো উদাসীনতা, অলসতা এবং আল্লাহ তায়ালার অবাধ্যতায় যেনো না কাটে।
একটি বিশেষ পুরস্কার হলো, এ মাসে আমল ও ভালো কাজের প্রতিদান বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয় যে মানুষ এর সীমাপরিসীমার ব্যাপারে চিন্তা করতেও অক্ষম ও অপারগ। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে কোনো নফল ইবাদত করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে রমজান ব্যতীত অন্য মাসের ফরজের সমপরিমাণ সওয়াব দান করবেন।
আর যে ফরজ আদায় করবে সে অন্য মাসের সত্তর ফরজের সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। (বায়হাকী)। এই হাদিস থেকে এটাই প্রমাণিত হয়, একটি ফরজের সওয়াব সারাজীবন আদায় করা নফলের চেয়েও অধিক। ইসলামি মূলনীতির আলোকে আমাদের এটিও বুঝে নেওয়া উচিত, যে সময় বা স্থানে আমলের সওয়াব বেশি সেখানে গুনাহের কারণে শাস্তিও বাড় ধরণের হয়ে থাকে।
সুতরাং মুসলমান মাত্রই জানে যে, গুনাহ যেখানেই করা হোক না কেন তা গুনাহ বলে বিবেচিত হবে। আর সেই গুনাহ যদি মসজিদে বা মসজিদে নববীতে অথবা কাবা ঘরে গিয়ে করে তাহলে এর শাস্তি আরও কত ভয়াবহ হতে পারে!
এজন্যই রমজান মাসে যেমন আমলের সওয়াব বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তেমনি গুনাহের কারণে শাস্তিও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন, যখন রমজান মাসের প্রতিটি রাতে একজন ঘোষক এই বলে ঘোষণা দিতে থাকে, হে কল্যাণ প্রত্যাশী অগ্রসর হও এবং পাপ অন্বেষী থেমে যাও।
যেহেতু রমজানে আমলের সওয়াব বাড়িয়ে দেওয়া হবে এজন্য এর মূল্যবান সময়গুলোকে যথাযথ কাজে লাগানোর মাধ্যমে উপকৃত হবে এবং শাস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে নিজেকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
-এটি