মূল: মুফতি রশীদ আহমাদ খুরশিদ
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান
হে আমার প্রভু, আপনি তাদের (আমার পিতামাতার) প্রতি অনুগ্রহ করুন যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন। (সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত ২৪)
পিতামাতার জন্য দোয়া করার প্রথম ফায়েদা হলো আল্লাহ আপনাকে তাদের প্রতি আনুগত্যশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিবেন। আর শরীয়ত সম্মত কাজে পিতামাতার আনুগত্য করা সন্তানের জন্য ফরজ। আর দ্বিতীয় ফায়েদা হলো, যখন আপনি তাদের জন্য অনুগ্রহের দোয়া করবেন, তখন আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ অর্জন আপনার জন্য হবে। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যখন তার অপর ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন। যে তার প্রতিটি দোয়ায় আমিন বলে।
আর আল্লাহ তাকেও অনুরূপ দান করেন। সুতরাং আপনি যখন নিজ পিতামাতার প্রতি আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ কামনা করবেন তখন ফেরেশতা আমিন বলবে এবং আপনার জন্যও অনুগ্রহের দোয়া করবে। ফেরেশতাকে তো আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেনই আপনার জন্য দোয়া করার জন্য তাহলে তার দোয়া আপনাদের জন্য কবুল হবেই।
ব্যাপারটা এমন নয় যে, ফেরেশতা বলবে আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করুন আর আল্লাহ অনুগ্রহ করবেননা। কারণ আল্লাহ তায়ালার নেযাম এমনই। এজন্য পিতামাতার জন্য দোয়া করার গুরুত্ব অনেক বেশি। পিতামাতার জন্য দোয়া করা এক অর্থে নিজের দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণের জন্য দোয়া করার মতো। আর শুধু দোয়াতেই সীমাবদ্ধ না থেকে তাদের খেদমত, সম্মান ও আনুগত্য করা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে আমাদের ছোটদের দয়া করেনা এবং বড়দের সম্মান করেনা সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
আল্লাহ তায়ালা অপর আয়াতে পিতামাতার প্রতি ইহসান ও অনুগ্রহের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, আর আপনার রব আদেশ দিয়েছেন তিনি ছাড়া অন্য কারো 'ইবাদাত না করতে ও পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে । তারা একজন বা উভয়ই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে 'উফ' বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না; তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বলো। (সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত ২৩)
আপনার পিতামাতা জীবিত থাকুন বা মৃত্যুবরণ করুন সদাসর্বদা তাদেরকে দোয়ায় স্মরণ রাখুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দিন, আমিন।
-এটি