আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রামের জামিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার কার্যকরী পরিষদ সদস্য এর পক্ষ থেকে এক ভিডিও বিবৃতিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সারাদেশের মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার জন্য। বিবৃতিতে সাধারণ মানৃুষের কাছে দোয়া চাওয়া হয় যেনো কুরআন পাঠের জন্য মাদরাসা খুলে দেওয়া হয়। মাদ্রাসার কার্যকরী পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে ভিডিও বিবৃতি পাঠ করেন মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক ড. নুরুল আবছার আযহারী।
ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহে রমজানের ছুটির পর দেশের সকল নাজেরা, হেফজখানা ও কওমি মাদ্রাসাসমূহ খোলা হয়ে যায় এবং কোরআন ও হাদিসের চর্চা শুরু হয় সে জন্য আপনারা দোয়া করবেন। কেননা দেশের হাজার হাজার হেফজখানায় কোরআন তেলাওয়াত শুরু হলে এবং কওমি মাদরাসাগুলোতে কোরআন-হাদিস ও ইলমের চর্চা শুরু হলে এর বরকতে আশা করা যায় বালা মুসিবত দূর হবে ও রহমত-বরকত নাজিল হবে।
তিনি বলেন, গত বছর কোরবানি পর্যন্ত লকডাউন পরিস্থিতি বজায় ছিল। আল্লাহর ইচ্ছায় চলতি বছর রমজান মাসেও করোনার মহামারীর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন দেয়া হয়েছে। এই লকডাউন এর কারণে জনচলাচল ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে পড়ায় মাদ্রাসার ওস্তাদ ও প্রতিনিধিগণ আপনাদের কাছে গিয়ে মাহে রমজানের যাকাত-ফিতরা ও অন্যান্য সহযোগিতার অর্থ সংগ্রহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছেন।
আল্লাহ না করুন! এবারের রমজানেও যদি জামিয়ার গুরাবাফান্ডে অর্থ সংগ্রহের এই প্রতিবন্ধকতা জারী থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম এবং হাজার হাজার গরীব ও এতিম ছাত্রের ভরণপোষণ ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা সংকটের মুখে পড়তে পারে। তাই লকডাউনের কারণে মাদরাসার প্রতিনিধিগণ হয়তো সরাসরি আপনাদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ পাবেন না।
তাই দেশের মাদ্রাসাগুলোর গোরাবাফান্ডের অর্থের যোগান দেয়ার জন্য আপনাদের নিজ উদ্যোগে, নিজেদের ফিতরা-যাকাতের টাকা মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে অথবা এলাকা ভিত্তিক জমা করে, মাদ্রাসাগুলোর ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশ নাম্বারে পাঠিয়ে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম ও বহুমুখী দীনি খেদমতের দ্বার অব্যাহত রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অফুরন্ত সাওয়ার লাভ করবেন। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন। আমিন।
এমডব্লিউ/