আওয়ার ইসলাম: কাশ্মির সীমান্তকে কেন্দ্র করে গত মাসে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। প্রতিবেশী দেশ দুটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে হওয়া এই শান্তি চুক্তির পর থেকেই তারা নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো স্বাভাবিক করার ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে এ পদক্ষেপ থেকে এখনই কোনো ফলাফল আসার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না।
তবুও সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে কোনো পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো উচিত। কেবল তাদের এমন উদ্যোগের বিরলতার কারণে নয়, বরং চিরবৈরী প্রতিবেশী দেশ দুটির এই সাফল্য বৃহত্তর দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের কয়েক মিলিয়ন লোকের জন্য উপকারী প্রভাব রাখবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইউরোপীয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা বিবেচনা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে নাগরিকদের অনুসরণ এবং পর্যবেক্ষণ করতে আরও প্ররোচিত করে তোলবে।
প্রক্রিয়া শুরু করার সময় নাগরিক প্রশাসন ও সামরিক স্থাপনায় পাকিস্তানের সচেতন প্রচেষ্টা একই পৃষ্ঠায় ছিল। পাশাপাশি ভারত সরকার যে চারটি রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছে সেখানে পাকিস্তানকে মৌখিক আদান-প্রদানের হাত থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত আন্তরিকতার সাথে চলছে। অবশ্য উভয় দেশ এই পর্যায়ে এসে বড় কোনো ঘোষণা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। কারণ, এমন কিছু অযথা প্রত্যাশা বাড়াবে এবং বিষয়গুলোকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের নতুন কৌশলগত দিক নির্ধারণ নিয়ে প্রথমবারের মতো ইসলামাবাদ সুরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কেবলমাত্র একটি শান্তিপূর্ণ আঞ্চলিক প্রতিবেশিদের সঙ্গেই সম্ভব। প্রতিবেশিদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক শান্তি অর্জন ছাড়া অর্থনীতির সম্পূর্ণ সুবিধা নেওয়া যাবে না।
এ সময় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু এক্ষেত্রে ভারতকেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় আমরা সামনে এগোতে পারছি না। অবশ্য নয়াদিল্লি সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ইমরান খান। এরপরই তার সুস্থতা কামনায় টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।
এনটি