মোস্তফা ওয়াদুদ: স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ।
আজ ৩০ মার্চ আল-হাইআতুল উলয়ার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির জরুরি সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ, আহত ও কারাবন্দীদের জন্য বিশেষভাবে দু‘আ হয়। শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয় ও সরকারের প্রতি কারাবন্দীদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মুফতি রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন, আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশ এর অধীন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহসভাপতি হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, হযরত মাওলানা সাজিদুর রহমান, হযরত মাওলানা ছফীউল্লাহ, হযরত মাওলানা মোশতাক আহমদ, হযরত মাওলানা মুছলিহুদ্দীন রাজু, হযরত মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়্যা, মহাসচিব হযরত মাওলানা মাহফুজুল হক, সহকারী মহাসচিব হযরত মাওলানা মুফতী নূরুল আমীন, হযরত মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী। বেফাকুল মাদারিসিল কওময়িা গওহরডাঙ্গার হযরত মাওলানা উসামা আমীন, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর সহসভাপতি হযরত মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, আযাদ দীনী এদারায়ে তা‘লীম বাংলাদেশ এর মহাসচিব হযরত মাওলানা আব্দুল বছীর, হযরত মাওলানা এনামুল হক, তানজীমুল মাদারিসিদ দীনিয়া বাংলাদেশ এর সভাপতি হযরত মাওলানা আরশাদ রাহমানী, যুগ্মমহাসচিব হযরত মাওলানা মুফতি এনামুল হক, জাতীয় দীনী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এর সহসভাপতি হযরত মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মহাসচিব হযরত মাওলানা মোহাম্মাদ আলী, আল-হাইআতুল উলয়ার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল এবং অফিস সম্পাদক মাওলানা মু. অছিউর রহমান।
এদিকে বেফাকও শোক প্রকাশ করেছে চলমান এ ঘটনার। গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালনকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে সাধারণ মুসুল্লিদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাহারীতে বিক্ষোভ করে প্রতিবাদী ছাত্র জনতা। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে গুলি করে পুলিশ। প্রাণ হারান হাটহাজারী মাদরাসার তিন ছাত্র ও স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী।
তুচ্ছ ঘটনায় গুলি করে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে গত শনিবার (২৭ মার্চ) সারাদেশে বিক্ষোভ ও রোববার (২৮ মার্চ) হরতালের ঘোষণা দেয় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
সারাদেশে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চরম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। চারজন হত্যার প্রতিবাদে ডাকা হরতালে প্রাণ হারায় আরো ১৩ জন। মোট ১৭ জন মাদরাসা ছাত্র ও সাধারণ মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা ও সমবেদনা জানিয়েছে কওমি মাদরাসা শিক্ষোবোর্ড বেফাক। বেফাকের পক্ষে এ সমবেদনা প্রকাশ করেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল রাতে বেফাকের নিজস্ব প্যাডে প্রকাশিত এ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘শাহাদত বরণকারী ও আহতদের প্রতি বেফাকের পক্ষ থেকে সমবেদনা প্রকাশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন মাদরাসার যে সকল ছাত্র এবং ইসলামপ্রিয় জনতা শাহাদত বরণ করেছেন বা আহত হয়েছেন আমি তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এ পরিস্থিতিতে যারা শাহাদত বরণ করেছেন আমি মহান রাব্দুল আলামীনের দরবারে কায়মনােবাক্যে দোয়া করি, তিনি তাদের শাহাদত কবুল করুন। যারা আহত হয়েছেন আল্লাহ তাদের শীঘ্র নিরাময় দান করুন। দ্বীনের খাতিরে আমাদের সকল কাজ কবুল করুন এবং দ্বীনের পথে আমাদের দৃঢ়পদ রাখুন।’
এমডব্লিউ/