আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ এক ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার কথা জানান।
এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
১. সকল ধরণের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক ধর্মীয়/ অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলকায় সকল ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো। বিয়ে /জন্মদিন সহ যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।
২. মসজিদসহগ সকল উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
৩. পর্যটন/ বিনোদন কেন্দ্র/সিনেমা হলে জনসমাগম সীমিত করতে হবে এবং সকল ধরণের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করতে হবে।
৪.গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারনক্ষমতার ৫০ভাগের অধিক যাত্রী বহন করা যাবে না।
৫.সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্ত:জেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে।
৬.বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
৭.নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী খোলা/উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূবর্ক ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ওষুধের দোকানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
৮ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এচলা নিশ্চিত করতে হবে।
৯.শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাস্ত পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
১১.অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা/আড্ডা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রিত করতে হবে।
১২.প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধনসহ সকল ধরণের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
১৩.করোনায় আক্রান্ত/ করোনার লক্ষযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিক করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের্ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
১৪. জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি/বেসরকারি অফিস /প্রতিষ্ঠাস/ শিল্প কলকারখানাসমূহ ৫০ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী/অসুস্থ/বয়স ৫৫ উর্দ্ধ কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৫.সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা যথা সম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৬.স্বশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোন ধরণের গণপরীক্ষার ক্ষেতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
১৭. হোটেল-রেঁস্তোরাসমূহে ধারণ ক্ষমতার ৫০ভাগের অধিক মানুষের প্রবেশ বারিত করতে হবে।
১৮. কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
-কেএল