আওয়ার ইসলাম: ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করতেই আওয়ামী সরকার নিজেদের মন মত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও অনুমোদন করে। প্রশাসনের দ্বারা এ আইনের দোহাই দিয়ে সাধারন জনগণকে মামলা ও গ্রেফতার করে এক ভিতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে দেশপ্রেমিক জনগণের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।
আজ (০৫ মার্চ) শুক্রবার রাজধানীর ভাটারাস্থ আস’সাঈদ অডিটরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের নিয়মিত মাসিক বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন; দেশে একজন চোরকে চোর, ডাকাতকে ডাকাত, খুনিকে খুনি, দুর্নীতিবাজকে দুর্নীতিবাজ বলা যায় না। বরং বারবার প্রমাণিত চোর ও সন্ত্রাসরাই আজ দেশের হর্তা কর্তা বনে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে বলতে লেগেই অভিযোগকারীকে হতে হয় হেনস্তা এমন কি প্রাণ নাশেরও শিকার হতে হয়। কেমন যেন সব জায়গায় “চোরের মায়ের বড় গলা” প্রবাদ বাক্যটি আজ সুপ্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, এই ডিজিটাল আইন প্রণয়নের শুরু থেকেই দেশের সচেতন মহল, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ আপত্তি জানিয়ে আসছিলেনন। কিন্তু সরকার নিজেদের স্বার্থ রক্ষায়, অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে থাকার জন্যই এই আইন প্রণয়ন করে এবং তা অনুমোদন করায়। অনতিবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে এবং জনগণকে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় দেশের মানুষ ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা উদ্ধারে আবারও মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন (পরশ), অর্থ সম্পাদক ডাক্তার মুজিবর রহমান প্রমুখ।
-এটি