আওয়ার ইসলাম: বিবস্ত্র অবস্থায় হীরা আক্তার (১১) নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে শাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের শিশু আসামি হাসান রশিদ মৃধাকে (১৩) ৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদানসহ শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বাগেরহাট নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরে আলম।
মঙ্গলবার বিকালে এই মামলার ৩ আসামি স্বামী, স্ত্রী ও নাতির মধ্যে শুধুমাত্র নাতি শিশু আসামি হাসান রশিদকে শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী বিচারের রায় দেয়া হয়। রায়ের সময় হাসান রশিদ আদালতে উপস্থিত ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাকি দুই আসামি মুক্তার মৃধা, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম কারাগারে রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রাপ্ত বয়ষ্ক এদুজনের বিষয়ে অন্য আদালতে বিচার কার্যসম্পন্ন হবে।
বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামে ২০১৯ সালের ২রা জুলাই বিকালে গাউছ শেখের বাড়ি থেকে তার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী হীরা আক্তারের বিবস্ত্র ও শরীরে লিপিস্টিক লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৪ঠা জুলাই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন নিহতের মা নাসিমা বেগম।
হত্যার কারণ হিসেবে এ মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ১ নং আসামি মুক্তার মৃধা নিহত ছাত্রীর মা নাসিমার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। এ ঘটনায় মুক্তার মৃধাকে অপমান করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। প্রতিশোধ নিতে স্বামী-স্ত্রী ও নাতি মিলে তার শিশুকন্যাকে বাড়িতে একা পেয়ে গলাটিপে হত্যা করে বিবস্ত্র করে ঘরের আড়ার সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় ১৮ই নভেম্বর পুলিশ ওই ৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এক আসামি শিশু হওয়ায় গত ২৫শে নভেম্বর এই মামলার নথি শিশু আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে চলতি বছরের ১৫ই মার্চ আসামি হাসান রশিদ মৃধার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। শিশু আদালতে এই মামলার বিচার চলাকালে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে মঙ্গলবার আদালতে শিশু আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
-কেএল