আওয়ার ইসলাম: মহানবি, প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মাদ সা.-এর নবুয়তি জীবনের বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনা ও বৈদেশিক যোগাযোগের সোনালি অধ্যায়।
তিনি মক্কা-মদিনার বিস্তৃত জনপদে যেমন পৌঁছে দিয়েছেন হেদায়েতের বাণী, তেমনি তাঁর আদর্শের বাণী নিয়ে মুসলিম দূতরা পৌঁছে গেছেন দেশ-দেশান্তরে। ফলে পূর্ণাঙ্গতা ও আদর্শিক ব্যাপ্তিতে ইসলাম একটি আন্তর্জাতিক ধর্ম, তথা ‘বিশ্বধর্ম’।
রোমের সম্রাট হিরাক্লিয়াসের নিকটে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সা. ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যে চিঠিটি প্রেরণ করেছিলেন তা বর্তমানে জর্ডানের মালিক হুসাইন নামক একটি মসজিদে সংরক্ষিত রয়েছে।
প্রিয় নবী সা. তাঁর নবুয়তকালের সমসাময়িক রাজন্যবর্গের মধ্যে সর্বাধিক প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছেও অকপটে দ্বিনের দাওয়াত পৌঁছে দেন। অত্যন্ত দৃঢ় ও স্পষ্ট ভাষায় লিখিত একটি পত্র প্রিয় নবী সা. রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে পৌঁছান। এ পবিত্র পত্র অত্যন্ত সুদর্শন সাহাবি হজরত দেহইয়া বিন খলিফা কালবি রা. সম্রাটের হাতে অর্পণ করেন। পত্রের বিষয়বস্তু ছিল নিম্নরূপ:
‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আল্লাহর বান্দা ও রাসুল মুহাম্মদ সা.-এর পক্ষ থেকে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস বরাবর। ন্যায়ের পথের অনুসারীদের প্রতি সালাম। অতঃপর আমি আপনাকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যদি শান্তি লাভ করতে চান, তবে ইসলামে দীক্ষিত হোন। যদি আপনি ইসলাম গ্রহণ করেন, তবে আল্লাহ আপনাকে দ্বিগুণ প্রতিফল দেবেন। আর যদি প্রত্যাখ্যান করেন, তবে আপনার সব প্রজাসাধারণের ভ্রষ্টতার দায় আপনার ওপর বর্তাবে।
হে আহলে কিতাব, বিতর্কিত সব বিষয় স্থগিত রেখে আসো, আমরা এমন এক বিষয়ে (অর্থাৎ তাওহিদের বিষয়ে) ঐকমত্যে পৌঁছেছি, যাতে তোমাদের ও আমাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই। আর তা হচ্ছে, আমরা এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করব না যদি এ বিষয়গুলো আপনি অস্বীকার করেন, তবে শুনে রাখুন, সব অবস্থায় আমরা আল্লাহর একত্বের বিশ্বাসে অবিচল থাকব।
-ওআই/আবদুল্লাহ তামিম