আবুল কাশেম অফিক: সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার দপ্তরগুলোর প্রবেশদ্বারে বেশ কিছুদিন থেকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রশাসনিক কাজের ব্যাঘাতের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সেবা নিতে আসা লোকজন দুর্ভোগের স্বীকার হন ।
অল্প বৃষ্টি হলেই প্রায় হাটুজল পরিমাণ পানির জমা হয়। উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর গুলোর নিচতলায় পানির সাথে ময়লা অবর্জনা একাকার হয়ে ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নিচতলা, উপজেলা কৃষি অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, হিসাব রক্ষক অফিস, সিনিয়র মৎস্য দপ্তর, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস, সমবায় অফিসের প্রবেশদ্বারে পানির সাথে ময়লা আবর্জনা যুক্ত সয়লাব হয়ে যায় ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যার প্রকোপ কমে গেলেও উপজেলায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায়, উল্লিখিত অফিসের সামন ও নিচতলায় বেশকিছু দিন যাবৎ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে নানা ধরনের পোকামাকড়,জীবাণুর জন্ম নিয়েছে। সেই সাথে দেখা দিতে পারে পানিবাহিত নানান রোগ। যার ফলে উপজেলা দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রভাবও ফেলতে পারে। প্রতি বছর বর্ষাকাল আসলেই প্রায় সারা সজনই এই পরিস্থিতিতে মধ্যে চলতে হয়।
এব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি গাছের পাতা, কাঁদা জমে বন্ধ হয়ে যায়, ফলে পানি জমে থাকে। যেহেতু আমার অফিসের প্রবেশদ্বার সেহেতু মশা, পোকামাকড় থাকতে পারে তাই চুন ও কীটনাশক ব্যবহার করি।এ নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনা করলে,এমন পরিস্থিতি হবেনা।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন মিয়া বলেন, আমার অফিসের সামনে এমন ময়লা আবর্জনা যুক্ত দুর্গন্ধ পানি দেখতেই খারাপ লাগে। ভবনের নিচতলার সব গুলা অফিস এই সমস্যায় রয়েছে। কৃষি অফিসে অনেক কৃষক আসেন, নানান কৃষি উপকরণ বিতরণ করতে হয় ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে। তাই, উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি করেন তিনি।
ড্রেন পরিষ্কার ও ময়লা-কাঁদা যুক্ত পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি নিয়ে আলাপ কালে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, কিছুদিন পূর্বে ড্রেন পরিষ্কার করানোর ফলে, বন্যার পানি ওই ড্রেন দিয়ে বেড়িয়ে যায়। ময়লা-কাঁদা যুক্ত পানি নিষ্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-এএ