আওয়ার ইসলাম: সবসময়ের মত করোনাকালেও পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পৌনে দুই কোটি টাকা দান এসেছে।
আজ শনিবার (২২ আগস্ট) কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে সাধারণ মানুষের দানের এমনচিত্র দেখা যায়। সাধারণত তিনমাস অন্তর অন্তর মসজিদে আটটি দানবাক্স খোলা হয়। কিন্তু এবার করোনা মহামারির কারণে ছয়মাস সাতদিন পর খোলা হয় দানবাক্সগুলো। এবার মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা এবং বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রৌপ্যালঙ্কার।
শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টায় দানবাক্স খোলার সময় পাগলা মসজিদের সাধারণ সম্পাদক, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ ও সদস্য সাইফুল হক মোল্লা দুলুসহ জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেছেন। মসজিদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত মাদরাসা এবং এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গোনার কাজে অংশ নেন। বিকাল সাড়ে ৪টায় টাকা গোনা শেষ হয়। এর আগে এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা এবং বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রৌপ্যালঙ্কার।
মসজিদটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসন বলছে, এ সব অর্থ এ মসজিদ, মসজিদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানাসহ জেলার সব মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। মসজিদ পরিচালনা কমিটির প্রবীণ সদস্যদের মতে, এখানে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে দেশ-বিদেশের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ এখানে এসে দান করে থাকেন।
দানবাক্স ছাড়াও প্রতিদিন নানা শ্রেণি-পেশা আর ধর্মের মানুষ মানত পূরণ করতে ছুটে আসেন পাগলা মসজিদে। নগদ টাকা ছাড়াও তারা নিয়ে আসেন চাল-ডাল-গবাদিপশুসহ বিভিন্ন সামগ্রী। দিন শেষে এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা হয়।
-এটি