আওয়ার ইসলাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বছর জুড়ে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বুধবার (১১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুজিববর্ষের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বায়তুল মুকাররম মসজিদকে দৃষ্টিনন্দন, আধুনিক ও সুন্দর করে সাজানোর প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ভিত্তিপ্রস্তরকৃত বায়তুল মুকাররম মসজিদের মিনারের অসমাপ্ত কাজও সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মুজিব বর্ষের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দেশের ৭৮ হাজারের অধিক স্থানে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ১৭ মার্চ বাদ যোহর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪ বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০৮ উপজেলা ও জোন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ৭৩ হাজার ৭৬৮ কেন্দ্র, ৫৫০ মডেল রিসোর্স সেন্টার, ১৫০০ সাধারণ রিসোর্স সেন্টার, ৫৫৫ মডেল লাইব্রেরি, ১০১০ দারুল আরকাম মাদরাসা, ৫০ ইসলামিক মিশন কেন্দ্র, ৪৬৫ মক্তব ও সাত ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিসহ মোট ৭৮ হাজার ৪৭৮টি স্থানে এ দোয়া হবে।
এছাড়া, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ১৭ মার্চ বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ১০০ কুরআনে হাফেজের মাধ্যমে ১০০ কুরআন খতম করা হবে।
সেই সাথে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ ও জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ এবং রাজশাহীর হেতেম খাঁ মসজিদে কুরআন খতম ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও সব ধর্মের অধিকার সুরক্ষায় বঙ্গবন্ধুর অবদান বিষয়ে ৮ বিভাগীয়সহ মোট ৯টি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশি- বিদেশি খ্যাতিমান ইসলামি স্কলারদের অংশগ্রহণ করবেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুসংহত করার প্রত্যয়ে দেশের প্রতিটি বিভাগে আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে নির্মিয়মান ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে মুজিববর্ষে ১০০টি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ সুসম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের ওপর গবেষণাধর্মী ১০০টি মৌলিক বই প্রকাশ করা হবে।
‘ইসলামের প্রচার ও প্রসারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান’ এর ওপর বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় বুকলেট ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ করা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররমস্থ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ ৬৪ জেলা লাইব্রেরিতে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ স্থাপন করা হবে।
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৬ লাখ কপি কোরআন বিনামূল্যে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বায়তুল মুকাররম কার্যালয় ও ৫০টি ইসলামিক মিশনে ১৭-৩১ মার্চ পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে।
বায়তুল মুকাররম মসজিদের আঙ্গিনা এবং ৬৪ বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে মাসব্যাপি বিশেষ ইসলামী বইমেলার আয়োজন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আকর্ষণীয় স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। এছাড়া জাতীয় শিশু দিবস ও জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়মিত প্রকাশনা ‘মাসিক অগ্রপথিক’ ও ‘মাসিক সবুজপাতা’ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪ বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
‘পরিচ্ছন্ন কর্মপরিবেশ, পরিচ্ছন্ন সেবা’ শিরোনামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪ বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর অফিস ও অফিসের চারপাশ পরিচ্ছন্ন করা হবে।
আরএম/