আওয়ার ইসলাম: হাজরে আসওয়াদ বায়তুল্লাহর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত। সৌদি সুরক্ষা বাহিনীর কর্মীরা চব্বিশ ঘণ্টা শিফট অনুযায়ী হাজারে আসওয়াদকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে। কর্মীরা হজ ও উমরা যাত্রীদের মধ্যে তাওয়াফের সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেষ্টা করে। যাতে তারা সহজেই এই মূল্যবান পাথরটিকে চুম্বন করতে পারে।
স্তম্ভটিতে সাতটি ছোট ছোট শিলা পাথর রয়েছে। এই পাথর সর্বনিম্ন বড় এক সে.মি. এবং সর্বোচ্চ দুই সে.মি.। এগুলির সুরক্ষার জন্য বিশেষ উপাদানে একটি বড় রুপোর ফ্রেমের ভিতরে পরস্পর মিলিয়ে রাখা হয়েছে।
তবে মানুষের চাপ ও উত্তাপের পাশাপাশি কিছু হজযাত্রী ও উমরাকারীর অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল চলাফেরার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়। যা কখনো কাম্য নয়। এ কারণে এই বরকতপূর্ণ পাথর দৈনিক পুরোপুরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের প্রয়োজন দেখা দেয়।
শেখ মাহমুদ বদরের পরিবার কয়েক হাজার বছর ধরে হাজারে আসওয়াদের দেখা-শোনা ও যত্নের সৌভাগ্য অর্জন করে আসছে। শায়খের পরে তাঁর পুত্র-নাতিরা ও বংশের লোকজন দায়িত্ব পালন করছে।
আজ হাজরে আসওয়াদের রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচ্ছন্নতা ও নির্মাণ সম্পর্কিত কাজ শায়খ ফয়সাল বিন শেখ মোহাম্মদ বিন মাহমুদ বদরের হাতে। হাজরে আসওয়াদ ও বাইতুল্লাহর পরিষ্কার পরিছন্নতা সুগন্ধি লাগানোর যত কাজ আছে তা হারামাইন শরীফাইনের জেনারেল সভাপতি করে থাকেন।
প্রত্যেক ফরয নামাযের আগে খুশবু লাগায়।। সুগন্ধি লাগানোর আগে প্রতিটি কর্তব্য সম্পাদন করা হয়, এতে সর্বাধিক ব্যয়বহুল ও দামী আতর ব্যবহৃত হয়।
আল আরাবিয়া ডট নেট অবলম্বনে ফয়জুর রহমান শেখ