যুবায়ের আহমাদ ।।
স্বপ্ন কমবেশি সবাই দেখে। সবারই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানার কৌতুহল থাকে। কেউ যদি স্বপ্নে কুরআন মাজিদ তেলাওয়াত করতে দেখে তাহলে তার ব্যাখ্যা (তা’বির) কি হবে?
এ ব্যাপারে প্রখ্যাত আলেম আল্লামা কামাল উদ্দিন আজমি রহ. লেখেন, যে কেউ যদি স্বপ্নে দেখে যে, সে দেখে দেখে কুরআন তেলাওয়াত করছেন, তাহলে তার ব্যাখ্যা হবে যে তার মর্যাদা বুলন্দি হবে এবং তার জীবনে খুশি নেমে আসবে।
আর যদি স্বপ্নে মুখস্ত (হিফজ) কুরআন তেলাওয়াত করতে দেখে তাহলে তার ব্যাখ্যা হবে, যে তার সাথে কারো সঙ্গে আদালতে মুখোমুখি হবে এবং তার দাবিই সহিহ হবে। এবং সে আমানত দার প্রমাণিত হবে। নম্র হৃদয়ের অধিকারী মুমিন হবে। সৎ কাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজ থেকে বাধা দিবে।
আর যদি কেউ স্বপ্নে কুরআনে কারিম খতম করতে দেখে তাহলে তার কোন বড় আশা পূরণ হবে। আল্লাহ তাআলা তাকে অনেক সওয়াব দান করবেন।
আর যদি কেউ এটা দেখে যে, সে কুরআন শরীফ মুখস্ত করে ফেলছে অথচ তার কুরআন শরীফ মুখস্ত ছিল না তাহলে তাকে তার পরিস্থিতির অনুযায়ী শক্তি বা মর্যাদা দান করা হবে।
যদি কেউ স্বপ্নে নিজেকে কুরআন শরীফ পড়া অবস্থায় দেখে, কিন্তু তার মনে নেই যে সে ঠিক কোন অংশ থেকে পড়েছে বা কোন আয়াত কোন সূরা পড়েছে। তাহলে সে যদি অসুস্থ থাকে সুস্থ হয়ে যাবে। আর যদি সে ব্যবসায়ী হয় তাহলে তো আর কোনো বড় মুনাফা হবে।
আর যদি কেউ সপ্নে দেখে যে, সে কুরআন শরীফ শ্রবণ করছে তাহলে তার শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং তার সব কাজের ফলাফল সুন্দর হবে এবং সে ষড়যন্ত্রকারীর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পাবে।
আর যদি কেউ সপ্নে এটা দেখে যে, সে কুরআনে মাজীদ তেলাওয়াত করছে আর লোকেরা তার তেলাওয়াত শুনছে, তাহলে লোক সমাজে তাঁর আদেশগুলো মান্য হবে।
আর যদি কেউ স্বপ্নে কুরআনে কারিমকে বিকৃতি করে পড়তে এবং তাতে "খলল" সৃষ্টি করতে দেখে তাহলে এটা তার দুর্দশার লক্ষণ হবে।
-ডেইলি পাকিস্তান অবলম্বনে
আরএম/