আওয়ার ইসলাম: জামিয়া বারিধারা ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন,সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস মহাগ্রন্থ আল কুরআন। ইসলাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিরোধী নয়। বরং মানবকল্যাণে জ্ঞান-গবেষণা ও প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত করে থাকে।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ মাগরীব সিলেট শাহপরান থানার পীরের বাজারস্থ চৌধুরী পাড়া মাঠে জামেয়াতুল খাইর আল ইসলামিয়া আয়োজিত আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই জ্ঞান-গবেষণায় অবশ্যই আদর্শ ও নৈতিকতার উপস্থিতি থাকতে হবে। অসৎ ও অনৈতিক কাজে জ্ঞান,গবেষণা ও প্রযুুক্তির ব্যবহার রোধ করতে হলে নীতি-নৈতিকতা ও ধর্মের উপস্থিতি থাকতে হবে।
তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে কেরাত চর্চা কুরআনি সমাজগঠনে ভূমিকা রাখবে। ইসলামের ফিক্বহ শাস্ত্রে উচ্চতর গবেষণার প্রাণকেন্দ্র এই জামেয়া তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের বড় বড় ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞদের রচিত গ্রন্থ স্টাডি করার ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য করে দিয়েছে।
জকিগঞ্জের মুনশীবাজার মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা মুক্বাদ্দাস আলী ও শায়খুল হাদিস আব্দুল মুছাব্বির আইয়ূবী এর যৌথ সভাপতিত্বে এবং জামেয়াতুল খাইর আল ইসলামিয়া সিলেট এর মহাপরিচালক মুফতি আবদুল মুনতাকিম,সহকারী পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম এর যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে আরো বয়ান করেছেন।
দরগাহ মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী,মাওলানা তাফাজ্জুল হক আযিয,শাইখুল হাদীস আল্লামা মকবুল হুসাইন আসগরী,সুরাইঘাট মাদরাসার শাইখুল হাদীস মাওলানা শফিকুল হক সুরাইঘাটী, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খান ধনুকান্দী, নাইয়রপুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা নাজমুদ্দীন কাসিমী, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা আখতারুজ্জামান, মাওলানা আব্দুল মতিন নবিগঞ্জী, মাওলানা নাইম উদ্দীন শাহসুন্দরসহ দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরাম।
সম্মেলনে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা শ্বাসের অধিকারী মিশরের শায়খ মনসুর জুমা,ইরানের শায়খ মো.সাঈদ গান্দুম তুসী,মিশরের জাতীয় সংসদের প্রধান ক্বারী শায়খ মুহাম্মদ আল মুরিজী,ইন্দোনেশিয়ার শায়খ ক্বারি দারউয়িন হাসিবুয়ান।
ইয়ামেনের ক্বারি হাইসিম আদ দাখিন,লন্ডনের শায়খ ক্বারি কাজী লুতফুর রহমান,বাংলাদেশের ক্বারি আবুল হোসাইন,সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী,কাতারের শায়খ নূর মোহাম্মদ, ঢাকার ক্বারি মাহমুদুল হাসান ও বিশ্বজয়ী খুদে হাফেজ কাতারের মুহাম্মদ মুহান্নাদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তিলাওয়াত পরিবেশন করেন।
-এটি