আওয়ার ইসলাম: ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী চলমান বিক্ষোভে উত্তর প্রদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
শুক্রবার উত্তর প্রদেশের পুলিশের মহাপরিচালক ওপি সিং দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৫০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে নিহতদের কেউই পুলিশের গুলিতে মারা যায়নি। গুলির ঘটনা ঘটে থাকলে তা বিক্ষোভকারীদের দিক থেকে হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য পুলিশের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের তরফে ছয় বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। পরে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর দেয় প্রশাসন। এর মধ্যে তিন জন মিরাটে, দুই জন বিজনরে আর বারানসি, ফিরোজাবাদ, সামবাল, মেরঠ ও কানপুরে এক জন করে নিহত হয়েছে।
এদিকে শুকবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, দেশবিরোধীদের ওপর প্রতিশোধ নেয়া হবে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ ও সামবালে বিক্ষোভে সহিংসতায় তিন জন মারা যাওয়ার পর শুক্রবার পুরো উত্তর প্রদেশই থমথমে হয়ে পড়ে। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় ৩৫০ জনকে আটক করে পুলিশ।
জুমার নামাজ ঘিরে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সভা সমাবেশের ওপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। তা অমান্য করে নামাজের পর রাজ্যের ১৩টি জেলায় শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।
উল্লেখ্য, ভারতে গত ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)। এতে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আইনটিকে মুসলিমবিরোধী আখ্যা দিয়ে ভারতজুড়ে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উত্তর প্রদেশ। সূত্র: দ্যা ওয়াল।
-এএ