আবদুল্লাহ তামিম।।
নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার আশঙ্কায় বন্ধ ঘোষণা করছে ভারতের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশাসনের চাপেই এ বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে বলে জানা যায়। সে ধারাবাহিকতায় ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেওবন্দকেও গতকাল মঙ্গলবার বন্ধ ঘোষণা করতে আবেদন জানায় প্রশাসন। দারুল উলুম দেওবন্দ সরকারের সে আবেদন প্রত্যাখান করায় আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের মত দেওবন্দে গিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জারবে দেওবন্দ জানায়, গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের ঐতিহ্যবাহি দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দেও নাগরিত্ব বিলের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিক্ষোভ। দফায় দফায় পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষকদের আহ্বানে বিক্ষোভ থেকে ফিরে যায় দারুল উলুমের ছাত্ররা।
এদিকে সোমবার থেকেই দারুল উলুমের শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভে থেকে দূরে রাখতে মাদরাসায় পুলিশ টহল চালায়।শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহরানপুর জেলার ইন্টারনেট সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিজেপি সরকারের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দেওবন্দের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আইন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য দারুল উলুমসহ দেশের সব মাদরাসায় ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেছেন। তবে সরকারের এ আবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছে দেওবন্দ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষনিকভাবে মাদরাসা না ছাড়তেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের মত বিজেপি সরকারের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দেওবন্দের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু দেওবন্দ মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করতে কোনোভাবেই রাজি নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন সরকারকে।
এদিকে, দারুল উলুমের মুহাদ্দিস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা আরশাদ মাদনী ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে আবারো জামিয়ায় দোয়া করছেন।
মাদরাসার শূরা সদস্যদের বৈঠকে কেউই মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করার পক্ষে মত না দেয়ায় প্রশাসনের আহ্বান প্রত্যাখান করেছে দেওবন্দ।
উল্লেখ্য, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় এবং লাখনৌয়ের দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের বর্বরতার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলমান রয়েছে এখনও।
এ ঘটনায় সারা দেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব দেখা যায় দেশটির ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দেও।ৎ
জারবে দেওবন্দ থেকে আবদুল্লাহ তামিমের অনুবাদ
-এটি