আওয়ার ইসলাম: মুসলিম আলেমদের প্রভাবশালী সংগঠন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের প্রধান মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানী বলেন, নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের মূল লক্ষ্য মুসলমানদের হতাশ ও তাদের চেতনা ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়া।
তিনি আরো বলেন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ আজ সোমবার নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করবে, ইতোমধ্যে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ এবং রাজীব ধাওয়ানের সাথে এ ইস্যু নিয়ে পরামর্শ করেছেন।রেকর্ডে আমাদের আইনজীবী হবেন ইরশাদ হানিফ।
তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে সেপ্টেম্বরে আমরা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সাথে দেখা করেছিলাম। তারসঙ্গে ভাগবতের সাথে সন্দেহভাজনদের হত্যা, অযোধ্যা, কাশ্মীরসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কথা হয়েছিলো।
তখন আমরা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনো কথা বলিনি। এ আইনটির ক্ষয়ক্ষতি মুসলমানরা আগামী কয়েক বছর বহন করবে। আমরা আসামে আতঙ্ক দেখেছি। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য মানুষকে মৃত্যুর মুখে পড়তে দেখেছি। যেহেতু তারা চায় এখানে মুসলমানরা লড়াই করুক, তবে তারা জানে না যে মুসলমানরা সর্বত্র লড়াই করতে জানে, এখানেও তারা লড়াই করতে জানে।
এদেশের মুসলমানরা এ দেশ গঠনে এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাখতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। জমিয়ত সর্বদা নেহেরু ও গান্ধীর কথাটিকে একটি গাইড হিসাবে নিয়েছে। ভারত বিভাগটি তখনকার রাজনৈতিক নেতাদের কারণে হয়েছিল, মুসলমানদের কারণে নয়।
ভারত এটি বলতে পারতো, যে ধর্মীয় কারণে যে কেউ নির্যাতিত হয় তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আইনটি এ বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই করা হয়েছে যে, এ দেশকে মুসলমানদের হাত থেকে রক্ষা করছে এ আইন। আমাদের বিশ্বাস করা যাবে না।
মুসলিম দলগুলো, প্রধানত আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নেতৃত্বে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া, সমাজতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া, জামায়াতে ইসলামী, মজলিস তেহরিক এবং ওয়াহাদাত-এ-ইসলামীর মতো সংস্থা এ আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে, এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
-এটি