আওয়ার ইসলাম: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শুরু করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ শুনানি শুরু হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নিতাই রায় চৌধুরী, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহা. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে আজ সকালে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। প্রবেশ পথে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আইনজীবীদের জানান, আপিল বিভাগের তালিকাভুক্ত আইনজীবী যারা (মোট ৬১৩ জন), কেবল তারাই আদালতে প্রবেশ করতে পারবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ অবস্থানের কারণে বিএনপিপন্থি অনেক আইনজীবীই আদালতে প্রবেশ করতে পারেননি।
পরে সকাল ৯টার পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিএনপিপন্থি তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের যারা আদালতে প্রবেশ করেছিলেন, তারা শুরুতেই আইনজীবীদের প্রবেশে বাধা দেয়ার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহমুদ হোসেন আদালতকে বলেন, আমাদের আইনজীবীরা আদালতে প্রবেশ করতে পারছেন না। এ বিষয়টির সমাধান করা প্রয়োজন। আজ শত শত পুলিশ আদালত এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু আইনজীবীরা আদালতে প্রবেশ করতে পারছেন না।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, আমাদের দুই পক্ষের ৩০ জন করে আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার সুযোগ দিন। পরে আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দেন, বিএনপি ও রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ জন করে আইনজীবী জামিন আবেদনের শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
এর আগে চ্যারিটেবল মামলায় ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এরপর ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে মামলার কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আপিল আদালত।
-এএ